gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২ জুলাই ২০২৪ ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
gramerkagoj

❒ আজ শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, বেড়েছে পরীক্ষার্থী

ভেন্যু ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান নেই যশোর বোর্ডে!
প্রকাশ : শনিবার, ২৯ জুন , ২০২৪, ১১:৩৩:০০ পিএম , আপডেট : সোমবার, ১ জুলাই , ২০২৪, ০১:১৩:৩০ পিএম
এম. আইউব:
GK_2024-06-29_66804606227b4.jpg

আজ থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। এ বছর যশোর বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ১৪৮ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এর চেয়ে কম। পরীক্ষা দিয়েছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৩৯ জন। সেই হিসেবে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১৩ হাজার ১০৯ জন। ৫৭৪ টি কলেজের এসব পরীক্ষার্থী ২৩০ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে। তবে, এবারের পরীক্ষায় কতগুলো ভেন্যু কেন্দ্র আছে সেই হিসেব দিতে পারেনি যশোর বোর্ডের পরীক্ষা বিভাগ। দিতে পারেনি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট সংখ্যাও। যদিও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডক্টর বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা আনুমানিক আট-দশটি হবে বলে জানিয়েছেন।
এ বছর যশোর বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ১৪৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৬১ হাজার ৮৭৮ ও মেয়ে ৬২ হাজার ২৭০ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৩ হাজার ২১৬, মানবিক বিভাগ থেকে ৮৫ হাজার ৭৫২ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৫ হাজার ১৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এবার মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
শিক্ষাবোর্ড থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খুলনা জেলায় ২৩ হাজার ৪৬৫, বাগেরহাটে ৮ হাজার ৬৬৩, সাতক্ষীরায় ১৩ হাজার ৯৪২, কুষ্টিয়ায় ১৬ হাজার ৩৫৯, চুয়াডাঙ্গায় ৭ হাজার ৭২২, মেহেরপুরে ৪ হাজার ৪০৫, যশোরে ২০ হাজার ৪৯০, নড়াইলে ৫ হাজার ৭২৯, ঝিনাইদহে ১৬ হাজার ৩৮৪ ও মাগুরায় ৬ হাজার ৯৮৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি খুলনায় এবং সবচেয়ে কম মেহেরপুরে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রতি বছরের মতো এবারও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। কোনো কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ রেজিস্ট্রারে লিখে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
পরীক্ষায় প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, তবে সেটি হতে হবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন।
নির্দেশনার মধ্যে আরও যা রয়েছে তা হচ্ছে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই, এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়িয়েছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।
পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল ফোন, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় চারজন পরীক্ষার্থী কারাগারে থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। এদের মধ্যে তিনজন বাগেরহাট পিসি কলেজের। তারা হচ্ছে, সোহাগ মোল্লা, রাজিব শেখ ও নাসিম মোল্লা। আরেকজন বেলফুলিয়া কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী। তার নাম রনি মোল্লা।
পরীক্ষায় মোট ১৯ জন শিক্ষক ভিজিলেন্স টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে যশোর শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট ঘেঁটে জানাগেছে।
পরীক্ষা গ্রহণ সম্পর্কে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডক্টর বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ বলেন,‘সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভেন্যু কেন্দ্রের সংখ্যা ওইভাবে বলা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আনুমানিক আট-দশটি হতে পারে।’
চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন,‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা করতে যা যা করার সবকিছু করা হবে। কারো কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।’

আরও খবর

🔝