শিরোনাম |
❒ কারাগার থেকে ৪ ফাঁসির আসামির পলায়ন
জেলাখানার কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে চার ফাঁসির আসামি পালিয়ে যাবার ঘটনা দেশব্যাপী আলোচিত। বগুড়া কারাগারে এ ঘটনায় ডেপুটি জেলর ও প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি উঠে আসায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলর হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি।
তারা হলেন, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মজনু (কয়েদি নম্বর-৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন (কয়েদি নম্বর-৫১০৫), বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (কয়েদি নম্বর-৩৬৮৫) এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর-৪২৫২)।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পরে বুধবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলখানার অদূরে একটি বাজার থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি জানায় রাত ৩টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেয়া হয়। একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
ওই ঘটনার পর সেদিন সকালেই জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, ডিআইজি প্রিজনসহ একাধিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ওইদিন গণমাধ্যমকে বলেন, বগুড়া কারাগার অনেক পুরাতন। এটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে ভবনের অনেক স্থান নাজুক। ওই চার আসামিকে এ বছরের ১ জুন এ কারাগারে নিয়ে আসা হয়। তাদের রাখা হয়েছিল একই সেলে। তারা আসার পর আমি পরিদর্শনেও গিয়েছিলাম।
ওইদিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ওরা ছাদের যে অংশে ফুটো করেছে সেখানে কোনো রড ছিল না। তারা ছাদে গামছা বেঁধে ফুটো করে। আমরা এসব স্থান সংস্কারের কথা বলেছি। এছাড়া যেদিক দিয়ে তারা পালিয়েছিল সেখানে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।