শিরোনাম |
❒ বারবার নোটিশ করলেও কর্ণপাত করছেন না মফিজ
যশোর পৌরসভার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। শহরের হযরত বোরহান শাহ সড়কের ওয়াপদা মোড়ে স্থানীয় মফিজুর রহমান মফিজ এই দোকান নির্মাণ করছেন। অন্যদিকে স্থাপনা অপসরণ করার জন্য পৌরকর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত নোটিশ দিলেও কর্ণপাত না করে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন মফিজুর রহমান।
সরেজমিনে তথ্য মিলেছে, অভিযুক্ত মফিজুর রহমান তার ওয়াপদা মোড়ের বসতবাড়ির উত্তর এবং পূর্বপাশে রাস্তার জায়গা দখল করে নতুন দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। নির্মিতব্য নতুন ঘরের পাশে এর আগেও জায়গা দখল করে আরও তিনটি দোকান ঘর করেছেন তিনি। পৌরকর্তৃপক্ষ এ জায়গা রেখেছিল মানুষের চলাচলের জন্য। কিন্তু, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ঈন্ধন ও সহযোগিতায় তিনি ঘর নির্মাণ করছেন।
ওয়াপদা মোড় এলাকার অনেকে জানিয়েছেন, ঘরটি নির্মাণের ফলে এই পথ দিয়ে মানুষ চলাচলের জায়গা নেই। এখন ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হবে।
যশোর পৌরসভা সূত্র জানিয়েছে, কাজ বন্ধ করার জন্য গত ৮ ও ২৯ মে মফিজুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কাজ বন্ধ না করার কারণে গত ২৫ জুন চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত নোটিশে উল্লখ করা হয়েছে, বসতবাড়ির উত্তর এবং পূর্বপাশে রাস্তার জায়গা দখল করে আরসিসি কলাম নির্মাণ শুরু করলে উক্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে পৌর দপ্তর। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দেননি মফিজুর রহমান। উল্টো নোটিশের নির্দেশ অমান্য করে কলাম নির্মাণ ও পুরাতন ভবনের সাথে সংযুক্ত করে এবং রাস্তার দিকে আরো বর্ধিত করে ছাদ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করেছেন। বেআইনি নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে ওই স্থানে সকল অবৈধ স্থাপনা ভেঙে অপসরণ করে পৌরকর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে ওই নোটিশে। কিন্তু পৌরসভার নির্দেশনা অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়েই যাচ্ছেন মফিজুর রহমান।
যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ জানিয়েছেন, তাকে (মফিজুর রহমান) বারবার নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কর্ণপাত না করে নির্মাণ কাজ চালিয়েই যাচ্ছেন তিনি। মফিজুর রহমান যদি দোকান ঘর ভেঙে সরিয়ে না নেন তাহলে নির্দেশ অমান্য করার কারণে পৌরকর্তৃপক্ষ স্থাপনা ভেঙে অপসরণ করবে এবং তাকে জরিমানা করা হবে।