শিরোনাম |
গত ২৬ মার্চ দৈনিক গ্রামের কাগজে ‘প্যাথলজি বিভাগের মোশারফকে নিয়ে হৈচৈ, ফিটনেস পরীক্ষার টাকা আত্মসাৎ ঘটনা ফাঁস, ফেরৎ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে মৌখিক সর্তক ও ভৎসনা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ পারভেজ মোশারাফকে নিজ কক্ষে ডেকে সতর্ক করেন। এসময় পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, কোরবানি ঈদের দুইদিন আগে থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শুরু হয়। এজন্য খাতাকলমে এ বিভাগ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু প্যাথলজি ইনচার্জ পারভেজ মোশারাফ তার দুজন বিশ্বস্ত সহযোগীকে নিয়ে প্যাথলজি খুলে বিদেশগামী ৩৮ জনের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই ফিটনেস পরীক্ষার নামে ৮শ’ টাকা করে হাতিয়ে নেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়েন তিনি। পরে তিনি ভুয়া রশিদে টাকা উত্তোলন দিখিয়ে ৩০ হাজার ৪০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করে দেন।
বিষয়টি গ্রামের কাগজে প্রকাশিত হলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ডাক্তার হারুন অর রশিদ বুধবার তাকে মৌখিক সর্তক করেছেন। একইসাথে পুণরায় এ ধরনের কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন।
তত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ জানান, প্যাথলজি ইনচার্জের দোষ প্রমাণিত। এজন্য তদন্ত কমিটির দরকার হয়নি। তাকে সর্তক করা হয়েছে।