gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
কলাপাড়ায় আবারও রাসেলস ভাইপারের দেখা মিলল
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৫ জুন , ২০২৪, ০৪:৩৫:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৩:০৬:২৯ পিএম
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা:
GK_2024-06-25_667a990a14ec1.jpg

একদিনের ব্যবধানে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আবারও দেখা মিলল দুই রাসেলস ভাইপারের। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে সাপ দুটি দেখার পর স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে বনবিভাগ অ্যানিমেল লাভার্সের সহযোগিতায় সাপ দুটিকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ধুলাস্বার ইউনিয়নের নলাপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল বারেকের বাড়ির জালে রাসেল ভাইপার‍ আটকা পড়ে। ওই বাড়ির রুবিনা নামে এক নারী লকড়ি আনতে গিয়ে দরজার সামনে জালে আটকা পড়া অবস্থায় রাসেল ভাইপার দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে।
এটির দৈর্ঘ্যে ৫ ফুটের মত। এ সময় সাপটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে সাপটি উদ্ধার করেছে অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্যরা।
একই বাড়ির বাসিন্দা মো. সবুজ বলেন, বাড়ি থেকে রাস্তায় উঠার পথে রাতের যে কোনো সময় আটক পড়ে সাপটি। সকালে আমার মা দেখতে পেয়ে আমাকে ডাক দেয়। পরে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে অনেক লোক একনজর দেখতে ভিড় জমায়। সাপটি এখনো জীবিত আছে। আমরা এটাকে আঘাত করিনি। অ্যানিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্যদের জানালে তারা চলে আসে।
অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কুয়াকাটা টিমের সদস্য আরিফুর রহমান শাওন জানান, বনবিভাগের কাছে তথ্য পেয়ে আমরা নলাপাড়া গ্রাম থেকে একটি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার করি। বালিয়াতলীতে আরও একটি রাসেলস ভাইপারের খোঁজ নেওয়ার জন্য আমাদের সদস্যরা পৌঁছেছে। সাপ দুটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বন বিভাগে হস্তান্তর করব।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ফোন পেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা উভয় ঘটনাস্থলে আমাদের সদস্য পাঠিয়েছি। অ্যানিমেল লাভার্সের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে একটি উদ্ধার হয়েছে। অন্যটিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
বিষধর প্রজাতির এ রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত পরিবেশে এবং কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। এরা নিশাচর, খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ ভক্ষণ করে। অন্যান্য সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে রাসেলস ভাইপার সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে।
একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো রাসেলস ভাইপার সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড আছে। এরা প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝