শিরোনাম |
❒ আলোচিত জসিম হত্যা মামলা
যশোর শহরের বকচরের আলোচিত জসিম উদ্দিন হত্যা মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়ার আনোয়ারা বেগম আনু, ইব্রাহিম খলিল, নাসির হোসেন, বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার জাহিদ ওরফে ডুবার ও বেজপাড়া কবরস্থান রোডের পোখরাজ আলম ওরফে রাহাত। নিহত জসিম মণিরামপুর উপজেলার হাকোবা গ্রামের কুদ্দুস মোড়লের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই শরীফ আল মামুন আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছেন।
মামলার তদন্তে উঠে আসে, জসিমের সাথে পরকীয়া গড়ে উঠেছিল যশোর শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়ার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারার সাথে। মাঝেমধ্যে যশোরে এসে প্রেমিকার বাড়িতে রাতযাপন করতেন জসিম। এছাড়া, তিনি গোপনে প্রেমিকাকে অর্থ ছাড়াও বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন। এক পর্যায়ে এসে আনোয়ারা পরকীয়া সম্পর্ক ছিন্ন করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এ কারণে তিনি বোনের ছেলে ইব্রাহিমের সাথে ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে জসিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এজন্য ২০২৩ সালের ২৬ জুন জসিমকে কৌশলে বারান্দি মোল্লাপাড়ার বাড়িতে ডেকে আনেন আনোয়ারা। পরে রাতে বন্ধু রিপনের সাথে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে শহরের বকচরে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা জসিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা কুদ্দুস মোড়ল অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ আল মামুন জানান, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জসিম হত্যার সাথে জড়িতদের শণাক্ত করা হয়েছে। এরপর বিভিন্ন সময় আলাদা স্থান থেকে হত্যার সাথে জড়িত ইব্রাহিম খলিল, ডুবার, পোখরাজ ও নাসিরকে আটক এবং হত্যায় ব্যবহৃত দুটি চাকু ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা হিসেবে আনোয়ারার নাম পাওয়া যায়।
এছাড়া তদন্তে পাওয়া যায়, পরকীয়া সম্পর্ক ছিন্ন করতে পরিকল্পিতভাবে ডেকে এনে ভাড়াটিয়ার সন্ত্রাসীদের দিয়ে জসিমকে খুন করিয়েছেন নিহতের কথিত প্রেমিকা আনোয়ারা। কিন্তু তারা এখনো পর্যন্ত আনোয়ারাকে আটক করতে পারেননি।