gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৮ জুন ২০২৪ ১৩ আষাঢ় ১৪৩১
gramerkagoj
ডিম সবজি চালসহ নিত্যপণ্যে স্বস্তি ফেরেনি
প্রকাশ : শুক্রবার, ২১ জুন , ২০২৪, ০৯:৩০:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-06-21_66759cfd17868.jpg

যশোরে বাজারে কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম ও সবজি। ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমেনি। মশলায় বাড়তি দাম এখনো অব্যাহত রয়েছে। ঈদের ছুটিতে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় কাঁচামরিচের ঝাঁঝ বেড়েছে।
ঈদুল আজহার ছুটিতে আমদানি বন্ধ থাকায় যশোরের বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি শুরু হয় অস্বাভাবিক দামে। একদিন আগেও কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে। একদিনের ব্যবধানে শুক্রবার শহরের বড়বাজারে দাম কিছুটা কমে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২৬০ টাকায়। চড়া রয়েছে সবজির বাজারও। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। উচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কচুরমুখি ৮০, কচুর লতি ১০০ টাকা। কাঁকরোল ৮০ টাকা। বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। ঝিঙ্গে ৬০ টাকা। ফুলকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচকলা, বরবটি, লাউ, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা। টমেটো ১২০ টাকা কেজি। গাজর ১৪০ টাকা। ধুন্দল, পটল ৩০ টাকা। মিষ্টি কুমড়া, ধুন্দল, চালকুমড়া ৪০ টাকা। বাধাকপি ৬০, ঢেড়স ৩০, আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে।
ঈদের আগে থেকেই শুরু হওয়া চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা হালিতে ডিম বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৪৮ টাকা হালিতে। সোনালী মুরগির ডিম ৫৬ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা। হাঁসের ডিম ৭০ টাকা। কোয়েল পাখির ডিম ১২ টাকা। ১২টি ডিমের বক্স ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভরা মৌসুমেও চালে স্বস্তি নেই। চাল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। প্রতি কেজি স্বর্ণা (মোটা) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। মিনিকেট চাল ৬২ থেকে ৬৬ টাকা। কাজললতা ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা। আঠাশ ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। বাসমতি ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদ শেষে এখনো চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে মশলায়। জিরা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার পাঁচশ’ টাকায়। এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার টাকা কেজিতে। লবঙ্গ এক হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা। গোলমরিচ এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা কেজি। দারুচিনি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। এখনো আদা বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ ৮০ টাকা। রসুন ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি বাজারে কিছুটা কমেছে মুগ ডালের দাম। বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। মসুরের ডাল ১১০ থেকে ১৪৫ টাকা। ছোলার ডাল ১১৫ টাকা কেজি। বুটের ডাল ৭৫ টাকা। খোলা আটা ৪০ টাকা। প্যাকেট আটা ৫০ টাকা। চিনি ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি। খোলা সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকা কেজি। বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা। লবণ ৪০ টাকা।
ঈদ শেষে কিছুটা কমেছে মুরগির দামও। মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ২২০ টাকা কেজিতে। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৩৩০ টাকা কেজিতে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৩৫০ টাকায়। দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৭৫০টাকা। খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার একশ’ টাকা কেজি। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে দুই হাজার টাকা কেজিতে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও খবর

🔝