gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৭ জুন ২০২৪ ১৩ আষাঢ় ১৪৩১
gramerkagoj
তোষা পাট ৯ এর বীজ পেতে আমদানি নির্ভরতা কমবে বিজেআরআই মহাপরিচালক
প্রকাশ : শুক্রবার, ২১ জুন , ২০২৪, ০৯:২৮:০০ পিএম
বাঘারপাড়া (যশোর) অফিস:
GK_2024-06-21_66759c576d1c3.jpg

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. আব্দুল আওয়াল বলেছেন, তোষা পাট ৯ একটি উচ্চ ফলনশীল ফসল। এই পাটের বীজ আমাদের নিজস্ব। এই পাট চাষ করে কৃষক লাভবান হবে। দেশে উৎপাদিত বীজ বিধায় আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমবে। এখন থেকে বিদেশ থেকে আর উন্নত জাতের পাটবীজ আমদানি করা লাগবে না।
শুক্রবার বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামে ‘উচ্চ ফলনশীল বিজেআরআই তোষা পাট ৯ (সবুজ সোনা) জাতের আর্ট উৎপাদন জনপ্রিয়করণ বিষয়ক মাঠ দিবস’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজেআরআই পরিচালক (কৃষি) কৃষিবিদ ড. নার্গীস আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি যশোর) উপ-পরিচালক ড. সুশান্ত তরফদার। আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেআইআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রিন্স মন্ডল, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অনুপ ঘোষ।
অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন কঠুরাকান্দি গ্রামের কৃষক সংগঠক প্রয়াত আইয়ুব হোসেনের দৌহিত্র রাহাত হোসেন জয়। তিনি জানান, প্রায় ২০ শতক জমিতে তিনি এই নতুন জাতের পাট বুনেছেন। কঠুরাকান্দি ছাড়াও বন্দবিলা, নিমটা, জহুরপুর প্রভৃতি গ্রামের প্রায় ৩০ জন কৃষক এই পার চাষ করেছেন। পাটবীজ কৃষকরা মণিরামপুর উপকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে পেয়েছেন।
বিজেআরআই সূত্রে জানা গেছে, ভারতের জেআরও-৫২৪-এর সঙ্গে দেশি আগাম পরিপক্ক জার্মপ্লাজমের (এক্সেশন-১৭৪৯) মধ্যে সংকরায়ণ (হাইব্রিডাইজেশন) ঘটিয়ে নতুন একটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন পরীক্ষণে জমিতে ভালো ফলন দিয়েছে। সেইসঙ্গে দেশের ভূমি ও আবহাওয়া উপযোগী বলেও প্রমাণ হয়েছে।
দেশের কৃষকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে বিজেআরআইর ড. নার্গীস আক্তার ২০০৪ সালে জাতটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। পরে তিনি উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিজ্ঞানীদের নিয়ে জাতটি উদ্ভাবন করেন। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষামূলক গবেষণার পর জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অনুপ ঘোষ বলেন, সাধারণ পাটের থেকে এই জাতের জীবনকাল ১০-২০ দিন কম। সাধারণ পাটের জীবনকাল ১২০ দিন। এছাড়া এই জাতের পাটের উৎপাদনও বেশি।

আরও খবর

🔝