শিরোনাম |
অবশেষে দেশময় আলোচিত ছাগলকাণ্ডের গোমর ফাঁস হয়েছে। এ ছাগলটি গত দু’মাস আগে যশোরের একটি হাট থেকে কিনে নিয়ে যায় সাদিক এগ্রো ফার্ম কর্তৃপক্ষ। ১২ লাখ টাকার ছাগলকাণ্ডের নায়ক মুশফিকুর রহমান ইফাত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে। এ তথ্য প্রকাশ করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। নিজেকে আড়াল করতেই মতিউর রহমান মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
নিজাম উদ্দিন হাজারী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) একটি বেসরকারি টেলিভিশনে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। মতিউর রহমান নিয়মিত দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর নানা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর আগে মতিউর রহমান বলেন, ছাগলকাণ্ডে ভাইরাল ওই ছেলেকে আমি চিনি না। সে আমার সন্তান নয়। আমার নাম জড়ানোয় আমি ও আমার পরিবার অনেক বিব্রত।
ছাগলটি কেনার প্রসঙ্গে মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ‘সাদিক এগ্রো’ ফার্মের কর্ণধার মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন জানান, আলোচিত সেই তরুণ শুধুমাত্র এক লাখ টাকা দিয়ে ছাগলটি বুক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটি খামার থেকে নেয়নি।
সাদেক এগ্রোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে ছাগলের দাম নিয়ে এত জল্পনা কল্পনা, তা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের ছাগল। এ জাতের নাম ‘বিটল’ এবং বাংলাদেশে এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ছাগল।
আলোচিত ওই ধূসর বাদামি রঙের ছাগলটির ওজন ১৭৫ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। প্রায় দুই মাস আগে এটিকে যশোরের একটি হাট থেকে ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কেনা হয় বলে সাদেক এগ্রোর দাবি। ফেসবুকের ওই ছাগলের সঙ্গে ইফাতের ছবি দেয়ার পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। এক রাজস্ব কর্মকর্তা কীভাবে এতো দামে ছাগল কিনলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।