শিরোনাম |
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন শহরে প্রকাশ্যে দিবালোকে ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি এক যুবক মারাত্মক জখম হয়েছেন। জখম হওয়া বাংলাদেশি যুবকের নাম- সজিব আহমেদ (২৬)। তার ঘাড় থেকে গলা পর্যন্ত আঘাত লেগেছে।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে কোপেনহেগেন শহরের ভ্যালবি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকের ভাষ্যমতে, অল্পের জন্য এই দফায় বেঁচে গেছেন তিনি।
৬৫ বছরের একজন ডেনিস নাগরিক স্থানীয় সময় সোমবার সকালে অতর্কিতভাবে ভ্যালভি টপটিগেইট প্লেডস এলাকায় ছুরি নিয়ে সজীবের ওপর হামলে পড়েন।
ড্যনিশ পুলিশ হামলাকারীকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টার মামলাও করেছে। তবে তাকে মানসিকভারসাম্যহীন বলা হয়েছে পুলিশের অভিযোগে।
জানা গেছে, ঘটনার সময় সজিব বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে আরও বেশ কিছু ডেনিশ যাত্রী ছিলেন। কিন্তু একমাত্র বিদেশি হিসেবে সজিব বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে এক ব্যক্তি ছুরি দিয়ে তার কাঁধে হামলা চালান। এতে তিনি মারাত্মক জখম হন।
তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে হামলাকারীকে আটক করে। সজীবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার কাঁধে প্রায় ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
আক্রমণকারী ব্যক্তি শুধুমাত্র সজীবের ওপরই হামলা চালিয়েছিলেন। এতে দেশটিতে বর্ণবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে।
তবে পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, হামলাকারীকে যেহেতু গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তদন্ত করে অচিরেই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
প্রবাসীরা বলছেন, বিদেশিদের সঙ্গে বর্ণবাদ বিষয় নিয়ে এইরকম ঘটনা যখনই ঘটে, আর দোষী ব্যক্তি যদি ডেনিশ নাগরিক হন তাহলে পুলিশ হামলাকারীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মামলাকে হালকা করে দেয়।
আহত সজীবের দেশের বাড়ি কুমিল্লার ভাংগুরা থানার দৌলোতপুর গ্রামে।
বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্কের রাষ্টদূত এ কে এম শহীদুল করিম বাইরে থাকার কারণে ডেনিশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য দূতাবাসের প্রেসিডেন্ট সাকিব সাদাকাতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন অব ডেনমার্ক এই ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা ও সঠিক বিচার দাবি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে ডেনমার্কে বাঙালি কমিউনিটির লোকজনের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বর্ণবাদী হামলার শিকার হয়ে ১৬ বছর আগে ডেনমার্কে মিলন নামে নোয়াখালীর এক ব্যক্তি মারা যান। তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। যে ঘটনার বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি। মিলনের বউ ও বাচ্চা এখনও ডেনমার্কে বিচারের আশায় বসে আছেন।