শিরোনাম |
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরে ৬ উপজেলায় আজ রোববার (১৬ জুন) মুসল্লিদের একটি অংশ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। তারা প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একই দিনে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও কোরবানি করেন।
দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়ে পার্টি সেন্টার, চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকা, কাহারোল উপজেলা সদরের জয়নন্দ গ্রাম, ১৩ মাইল এলাকা, বোচাগঞ্জ উপজেলার তেতরা গ্রাম, বিরল উপজেলার ভাড়াডাঙ্গী গ্রাম ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ পরিবারের মানুষ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় সাইতাঁড়া ইউনিয়নের রাবারড্যাম চিরিনদী ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন আশপাশের কয়েকটি পরিবারের মানুষ। এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এই জামায়াতে ইমামতি করেন মোহাম্মদ আব্দুল আলিম।
ফুলবাড়ি উপজেলা থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসা ডা. এস এম ওয়ালিউর ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ কোরবানি পালন করি। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে আজ ঈদ বাংলাদেশেও অনেক জায়গায় ঈদ হচ্ছে। একদিন আগেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পেরে ভালোই লাগছে।
চিরিনদী ঈদগাহ মাঠে সভাপতি হাসান আলী বলেন, আমরা ২০০৯ সাল থেকে সৌদির সাথে মিল রেখে রোজা ঈদ ও কোরবানি করি। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি জন্য মুসল্লির উপস্থিতি অনেক কম হয়েছে।
চিরি নদী ঈদগাহ মাঠের ইমাম মোহাম্মদ আব্দুল আলিম বলেন, আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি ঈদ ও কুরবানি উদযাপন করি। আমরা মনে করি, পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে ঈদের চাঁদ উঠলে ঈদের নামাজ পড়া যাবে বা কোরবানি করা যাবে। আমরা মুসলিম উম্মাকে একই দিনে ঈদ একই দিনে রোজা রাখার জন্য বিশেষ আহ্বান জানাব।
দিনাজপুর ঈদ উদযাপন কমিটির সভাপতি মোকবুল হোসেন জানান, এবার জেলার ১৩ থানায় প্রায় ৫০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি জামাতে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নামাজে অংশ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় ২০০ জনে পৌঁছেছে।