নড়াইলের লোহাগড়ায় বিদায়ী অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পৈত্রিকভিটা নড়াইলের করফা গ্রামে ছিলাম। এখানে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। যা কখনোই ভোলার নয়। লোহাগড়া, মল্লিকপুর ও করফা এলাকার কথা ভোলা যাবে না। এখানে বাবারও অনেক স্মৃতি রয়েছে। এলাকার জন্য বাবা অনেক কিছু করেছেন। অবসরের পরেও নড়াইলের সন্তান হিসেবে ক্রীড়াঙ্গন, পর্যটনসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের চেষ্টা করবো।’
শনিবার বিকেলে লোহাগড়ায় বাবার স্মৃতি বিজড়িত মল্লিক ইউনিয়ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিদায়ী সেনাপ্রধান।
জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশা আমার খুবই পছন্দের। আমার পিতাও শিক্ষক ছিলেন। আমার মেয়েও শিক্ষকতা করছে মেডিকেল কলেজে। আমার ছোট বোনটাও সহযোগী অধ্যাপক।’
প্রসঙ্গত, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামের সন্তান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের ২৪ জুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তিনি একাধিকবার নড়াইলের লোহাগড়ায় সফরে এসে রেললাইনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। আগামী ২৩ জুন নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শেখ রাসেল সেনানিবাসে ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন শেষে ১৫ জুন শনিবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহম্মেদ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে আসেন এবং লোহাগড়ায় ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি শাখা উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে তিনি মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন। একটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
পরে তিনি গাড়িযোগে মল্লিকপুর ইউনিয়ন সরকারি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে গমন করেন। এসময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মহাসিন ইসলাম, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান।
সেনাপ্রধানের সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, সেনা কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যরা।