শিরোনাম |
❒ আজাদ হত্যা মামলা নিয়ে উত্তেজনা
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহায় বাড়িতে ঈদ করতে পারছেন না দুই শতাধিক পরিবার। গ্রামের আজাদ হত্যা মামলার আসামি ও তাদের স্বজনদের বাড়ি আসা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে সেখানে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দীর্ঘ ১১ মাস বাড়িছাড়া প্রায় দুইশ’ পরিবারের প্রায় ৫শ’ নারী-পুরুষ ও শিশু নিজেদের বাড়িতে প্রবেশ করতে যায়। এসময় নিহত আজাদের ভাই সাজ্জাদ, নয়ন ও উজ্জ্বলের নেতৃত্বে তাদের লোকজন মহসিন মোড় বাজার এলাকায় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেয়।
প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম অভিযোগে জানান, আজাদের ভাইয়ের নেতৃত্বে তাকে ও তার পক্ষের লোকজনকে হত্যার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা যখন শনিবার সকালে নিজ নিজ বাড়িতে প্রবেশের জন্য ইছামতি দিয়ে বাড়ির দিকে এগুচ্ছিলেন তখন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাজ্জাদ ও তার লোকজন একটি ব্যাগে বোমা দিয়ে দুই কিশোরকে পাঠান। খবর পেয়ে বাশুয়াড়ি ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই দুই কিশোরকে আটক করে নিয়ে যায়।
একদিকে সংঘাতের আশংকা, অপরদিকে বাড়ি আসতে না পেরে অনেকেরই ঈদ আনন্দ ম্লান হতে চলেছে বলে জানান ভূক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় আজাদ শেখ হত্যাকান্ডের ঘটনায় শহিদুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন। পরবর্তীতে মামলার বাদীপক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়। হামলার ভয়ে অনেকে বাড়িঘর ফেলে অন্যত্র অশ্রয় নেন।
আজাদ হত্যাকান্ডের পর প্রতিপক্ষের তান্ডবে ১১ মাস বাড়িছাড়া বলে জানান অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য লাল্টু ভূঁইয়া। পেড়লী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আজিজ জানান, পুলিশ মহসিন মোড় বাজার এলাকা পরিদর্শন করেছে। কেউ আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটাতে চাইলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।