gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
নেপিয়ার ঘাস খেয়ে মারা গেল ২৭টি গরু, খামারির স্বপ্ন শেষ
প্রকাশ : বুধবার, ১২ জুন , ২০২৪, ০৮:২৪:০০ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-06-12_6669b223d04d9.jpg

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক খামারির স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। একরাতেই তার ২৭টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় নেপিয়ার-জাতীয় ঘাস খাওয়ার পর একটি খামারের ষাঁড়, গাভি, বাছুরসহ ২৭টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের তাহাযিদ অ্যাগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া খামারটির আরও বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
খামারের মালিক জাহেরুল ইসলাম বলেন, তাঁর খামারে দুই শতাধিক ছোট-বড় গরু আছে। এর মধ্যে ষাঁড় বেশি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তিনি ষাঁড়গুলো বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর নিজস্ব খেত থেকে নেপিয়ার কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরই গরুগুলো অসুস্থ হতে শুরু করে। পরদিন রোববার দুপুর থেকে একের পর এক গরু মারা যেতে থাকে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে একটি ষাঁড় গরু মারা যায়। এ নিয়ে সব মিলিয়ে খামারের ২৭টি গরু মারা গেছে। এর মধ্যে দুটি দুধের গাভি ও দুটি বাছুর ছাড়া অন্য ২৩টি ষাঁড় রয়েছে। খামারির দাবি, গরুগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
জাহিরুল ইসলাম বলেন, আমি ওই দিন বাড়িতে না থাকায় খামার দেখাশোনা করার লোকজন খেত থেকে কচি ঘাস কেটে সঙ্গে সঙ্গে গরুগুলোকে খেতে দেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। সাধারণত নেপিয়ার ঘাস আগের দিন কেটে রেখে পরদিন দেওয়া হতো। অথবা দুই ঘণ্টার মতো রোদে রেখে প্রাণীগুলোকে খেতে দেওয়া হতো। খামারের ২০৩টি গরুর মধ্যে অন্তত ৫০টি গরুকে এই ঘাস খেতে দেওয়া হয়েছিল। মারা যাওয়ার পর খামারে এখনো চারটি গরু অসুস্থ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা এসে মৃত গরুগুলোর নমুনা ও ঘাসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল আমার। কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। ঋণ করে খামারটি করেছিলাম। আমি নি:স্ব হয়ে গেলাম।
পূর্বধলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এম এ আউয়াল তালুকদার বলেন, বৃষ্টির সময় কচি ঘাসে নাইট্রোজেনের মাত্রা বেশি থাকে। নাইট্রেট বিষক্রিয়ায় গরুগুলো মারা যেতে পারে। ঘাসের নমুনা ও মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ব্যাপারে খামারির সঙ্গে অধিদপ্তরের মেডিকেল দল সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ খোঁজখবর রাখছে। তিনি আরও বলেন, খামারিদের গরুকে শুধু কাঁচা ঘাস দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়া নেপিয়ার ঘাস কাটার সঙ্গে সঙ্গে গরুকে খেতে দেওয়া উচিত নয়।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝