শিরোনাম |
লামা সুয়ালক সড়কে কাঠ বোঝাই গাড়ির সাথে মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে আহত রাজ মিস্ত্রি ফজল হকের স্ত্রী ১১ জুন লামা আদালতে মামলা করেছে। আহত ফজল হক এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ১ মাস ৯ দিন চমেকে চিকিৎসা করিয়ে তার পরিবার এখন নিঃস্ব। আর্থিক অভাবে উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে নিজের ঘরে মৃত্যুর প্রহর গুনছে ফজল হক। টিএস গাড়ির ধাক্কায় কোমর ও মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যায়। ছিড়ে যায় পেটের নাড়িভুড়ি। চমেক হাসপাতালে অপারেশন করেও উন্নতি হয় নাই। অবশেষে আদালতে মামলা করলেন আহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় এই মামলা এজাহার হয়েছে। প্রসঙ্গত: গত ২৬ এপ্রিল সরই ক্যায়াজুপাড়া থেকে ভাড়া করা মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে লামা সুয়ালক সড়কে কাঠ বোঝায় একটি টিএস গাড়ি ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটর সাইকেলে থাকা ফজল হক টিএস গাড়ির বাম্পারে সজোরে আঘাত লেগে ছিটকে পড়ে। সাথে সাথে ড্রাইভার হেল্পারেরা তাকে উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতির ফলে পরদিন ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে (চমেক) ২৬ নং ওয়ার্ডে এক মাস নয় দিন চিকিৎসা করে কোনোমতে পেটের নাড়িভুড়ি অপারেশন করে। অর্থোপেডিক্স ডাক্তার দেখানো হলে দু'পায়ে প্লাস্টার করে ১০ কেজি ওজনে টানা রাখার জন্য বলেন ডাক্তার। ৬ জুন/২৪ তারিখে চমেক থেকে মুমূর্ষু ফজল হক রাজ মেস্তরীকে রিলিজ করে দেয়া হয়। বর্তমানে সে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড নুনারবিল গ্রামে নিজ বাসায় মৃত্যুক্ষণ গুনছে। কাঠ বোঝাই টিএস গাড়ির ধাক্কায় আহত ফজল হকের পরিবার জানায়, টিএস গাড়ির মালিক ফাইতং নিবাসী গাছ-পাথর ব্যবসায়ী আকবর আহমদ।