gramerkagoj
শনিবার ● ১২ জুলাই ২০২৫ ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ যশোর জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশজুড়ে হত্যাকাণ্ড ও মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়লো ইতালি মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড: টিটন গাজীসহ মোট ৫ জন গ্রেপ্তার যশোর গরীব শাহ মাজারের সামনে কাল ভাটের ওপর দেবে যায় ট্রাক, যান চলাচল ব্যাহত বিক্ষোভে ফুঁসছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাঈমা ওয়াজেদ পুতুলকে ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাজাকে শিশুদের কবরস্থান ও অনাহারের উপত্যকায় পরিণত করেছে ইসরায়েল সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত নয়াদিল্লিতে ধসে পড়ল চারতলা ভবন
মরক্কোতে কোকাকোলা-পেপসি বয়কট
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১১ জুন , ২০২৪, ০৪:২৫:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2024-06-11_6668262225090.jpg

অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে প্রাণহানি হয়েছে ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির। এই ইস্যুতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই কোমলপানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা ও পেপসি বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে।
মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ বলছে, বয়কট কোকাকোলা হ্যাশট্যাগসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, কোকাকোলা ও পেপসি পণ্য কিনে খাওয়ার মানে হলো ফিলিস্তিনি ভাইদের রক্ত ​​পান করা।
অনেকে আবার এসব কোমল পানীয়ের বদলে মরোক্কান পুদিনা চা ব্যবহারের জন্য যুক্তি দিচ্ছেন। তাদের দাবি, কোমল পানীয়ের বিকল্প হিসেবে এই চা ব্যবহার করা হলে তা হবে স্বাস্থ্যকর। সেই সঙ্গে এটি স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও ভালো হবে। কেউ কেউ অবশ্য কোমল পানীয়ের পরিবর্তে প্রাকৃতিক জুস বা মরক্কোর তৈরি পানীয় বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
যাইহোক, কোকাকোলা ও পেপসির স্থানীয় কর্মীদের ওপর এই ধরনের বয়কটের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মরোক্কান নাগরিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ কোমল পানীয় সেক্টরে কাজ করে ও এই পানীয় বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেলে তাদের চাকরি চলে যেতে পারে।
বয়কটের এসব আহ্বান বৃহত্তর ‘বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংকশনস (বিডিএস) আন্দোলনের’ অংশ, যার মাধ্যমে ইসরায়েলের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার চেষ্টা করা হয়।
মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ বলছে, গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের মধ্যে কোকাকোলাকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের অ্যাটারোটে একটি কারখানা পরিচালনার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের অধিকৃত এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত।
এর আগে ২০২২ সালে অ্যাক্টিভিস্টদের চাপে মার্কিন ফুড কোম্পানি জেনারেল মিলস অ্যাটারোটে ছেড়ে চলে যায়। ফ্রেন্ডস অব আল-আকসা সংস্থা এখন কোকা-কোলাকেও সেই ধরনের পদক্ষেপ অনুসরণ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, কোকাকোলা পান করার মাধ্যমে, আমরা ভোক্তা হিসেবে ইসরায়েলিদের অবৈধ দখলদারত্বের বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রাখছি।
এছাড়া বৈশ্বিকভাবে এ ধরনেরে বয়কট প্রচারাভিযানের ফলে এরই মধ্যে কিছু দেশে কোকাকোলা ও পেপসির বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কেও কোকাকোলার বিক্রি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তাছাড়া বয়কট ট্রেন্ডের ফলে বিপাকে পড়েছে ম্যাকডোনাল্ডস, কেএফসি ও স্টারবাকসের মতো মার্কিন জায়ান্ট ফুড চেইন। মুসলিম দেশগুলোসহ বিশ্বজুড়ে কমেছে তাদের বিক্রির পরিমাণ। গত বছরের শেষ দিকে বিশ্বব্যাপী বয়কটের ডাকে ১১ বিলিয়ন বা ১১০০ কোটি ডলার লোকসানের মুখোমুখি হয়েছিল আন্তর্জাতিক কফি চেইন শপ স্টারবাকস।

আরও খবর

🔝