শিরোনাম |
❒ যশোরে আইনজীবী মুকুল লাঞ্জিতের ঘটনা
যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতম দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুধু অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলই নন, আরেক আইনজীবী মাহাবুব আলম বাচ্চুর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম মিলন দাবি করেন, তার ছয়জন কর্মীকে মারপিট করা হয়েছে । তিনি বলেন, ঈদের সময় ফুটপাত উচ্ছেদ করে পুলিশ। এসময় শহিদুল ইসলাম মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলসহ আরোও কয়েকজন পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে সেখানে হকারদের বসার অনুমতি আনেন। কিন্তু পরবর্তিতে মুকুলের নেতুত্বে একটি চক্র ফুটপাত থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলা শুরু করে। সম্মেলনে তার সাথে থাকা শাহীন নামে এক যুবককে তিনি ফুটপাতে ব্যবসায় বসতে চান। শাহীন ফুটপাতে দোকান বসাতে গেলে তার কাছে চাঁদা চাওয়া হয়। পরবর্তিতে বিষয়টি পুলিশ ফাঁড়িতে মিমাংসার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু শাহীনকে ডেকে মুকুল চক্রের সদস্যরা মারপিট করে। যা জানতে পেরেই তিনি ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন। এসময় তার সাথে অ্যাড. মুকুলের মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, মুলত একজন জনপ্রতিনিধির উস্কানিতে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়া হচ্ছ্।ে উপজেলা নির্বাচনে ওই জনপ্রতিনিধির প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় তিনি এ ধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছেন। মুকুলচক্রকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সর্বশেষ তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে, মামলাও হতে পারে। এসবে তিনি ভয় করেন না। তিনি কাউকেই চাঁদা তুলতে দেবেন না। এমনকি ফুটপাতে কোনো দোকানও বসাতে দেবেন না। এসব বিষয় নিয়ে তিনি ডিসির কাছে যাবেন। তার লোকজন নিয়ে প্রয়োজনে কালেক্টরেট চত্বরে অনশনে নামবেন বলে আল্টিমেটাম দেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম মিলনের সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মুন্সি মহিউদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হারুণ অর রশিদ, আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ খান, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তুহিন, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবীর সুমনসহ আওয়ামীল, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ।