gramerkagoj
বুধবার ● ৯ জুলাই ২০২৫ ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম আফগান নারীদের নিপীড়নে তালেবান নেতৃত্ব অভিযুক্ত, আইসিসির গ্রেপ্তারি আদেশ শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও বিচার দরকার: ফখরুল দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন অনুদানের জন্য আবেদন আহবান অব্যাহত বৃষ্টিতে ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা কারিগরদের দলমত নয়, দায়বোধের জয়: জামায়াতপন্থী নেতাদের হাত ধরে শৈলকুপার ধরমপাড়া রাস্তায় ফিরল স্বস্তি আরও কয়েক দিন চলবে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস মোরেলগঞ্জে ফের পানগুছি নদীর ভাঙ্গনের মুখে শত শত পরিবার জুলাই আন্দোলনে গুলি চালনার নির্দেশ শেখ হাসিনার মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত পানি আর কষ্টে ডুবেছে পাইকগাছা, ক্ষতির মুখে কৃষকরা

❒ এমপি আনার খুন

কলকাতার ফ্লাটের সেপটিক ট্যাংকে উদ্ধারকৃত মাংসের টুকরো মানুষের
প্রকাশ : সোমবার, ১০ জুন , ২০২৪, ০৭:৩৯:০০ পিএম , আপডেট : সোমবার, ৭ জুলাই , ২০২৫, ০১:০৯:৫২ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-06-10_666702396a181.png

ভারতের কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের ঝিনাইদহের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার তদন্তকালে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধারকৃত মাংসের টুকরোগুলো মানুষের বলে জানা গেছে। তবে সেটি এমপি আনারেরই কি না তা এখনো নিশ্চিত নয় সিআইডি। ডিএনএ পরীক্ষার পরেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে খুন হন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল আজীম আনার। অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি সূত্রে জানা যায়, হত্যার পর টুকরো টুকরো করা হয় এমপি আনারের নিথর দেহ। এরপর মাংসের টুকরো ফেলা হয় সঞ্জীবা গার্ডেনসের কমোডের ভেতর এবং পার্শ্ববর্তী বাগজোলা খালে ফেলা হয় হাড়গুলো।
টানা অভিযান চালিয়ে গত রোববার কলকাতার কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে কিছু হাড় উদ্ধার করেছে সিআইডি। সঙ্গে ছিল পুলিশ ও নৌবাহিনীর ডিএমজি টিম।
উদ্ধারকৃত হাড়গুলো মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর, তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মানুষের হলে সেগুলো এমপি আনারের কি না তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হতে পারে।
এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্তে কলকাতায় গিয়ে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক ভাঙতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। সেই অনুসারে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে গত ২৮ মে বেশ খানিকটা মাংসের টুকরো উদ্ধার করে সিআইডি। পচে যাওয়া মাংসের টুকরোগুলো মানুষের কি না তা জানতে পাঠানো হয় ফরেনসিক পরীক্ষায়।
ঢাকায় ফেরার আগে সাংবাদিকদের হারুন অর রশীদ বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডিকে অনুরোধ করে কমোড, সেপটিক ট্যাংক ও স্যুয়ারেজ লাইন পরীক্ষা করা হয়। এরপরেই সেপটিক ট্যাংক থেকে কয়েক টুকরো মাংস পাওয়া হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংস এমপি আনারের মনে করা হলেও এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে ফরেনসিক এবং ডিএনএ টেস্ট জরুরি। নমুনা এরই মধ্যে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (সিএফএসএল) পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টও করা হবে।
সূত্র বলছে, ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধারকৃত মাংসের টুকরোগুলো মানুষের। কিন্তু এ মাংস ও হাড়গোড় এমপি আনারের কি না তা জানতে এখন ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। সেক্ষেত্রে এমপি আনারের মেয়ে অথবা তার ভাইয়ের রক্তের নমুনা নেওয়া হতে পারে। সে কারণে বাংলাদেশে অবস্থানরত এমপি আনারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিআইডি সূত্র।

আরও খবর

🔝