শিরোনাম |
লামা সুয়ালক সড়কে কাঠ বোজায় গাড়ির সাথে মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে আহত রাজমেস্তরী ফজল হক জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ১ মাস ৯ দিন চমেকে চিকিৎসা করিয়ে তার পরিবার এখন নিঃস্ব। আর্থিক অভাবে উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে নিজের ঘরে মৃত্যুর প্রহর গুনছে ফজল হক। টিএস গাড়ির ধাক্কায় কোমর ও মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যায়। ছিড়ে যায় পেটের নাড়িভুড়ি। চমেক হাসপাতালে অপারেশন করেও উন্নতি হয় নাই। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গত ২৬ এপ্রিল সরই ক্যায়াজুপাড়া কাজের সাইট থেকে ভাড়া করা মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে লামা সুয়ালক সড়কের কম্পনিয়া নামক স্থানে কাঠ বোঝায় একটি টিএস গাড়ি ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটর সাইকেলে থাকা ফজল হক টিএস গাড়ির বাম্পারে সজোরে আঘাত লেগে ছিটকে পড়ে। সাথে সাথে ড্রাইভার হেল্পারেরা তাকে উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতির ফলে পরদিন ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে (চমেক) ২৬ নং ওয়ার্ডে এক মাস নয় দিন চিকিৎসা করে কোনোমতে পেটের নাড়িভুড়ি অপারেশন করে। পরে অর্থোপেডিক্স ডাক্তার দেখানো হলে দু'পায়ে প্লাস্টার করে ১০ কেজি ওজনে টানা রাখার জন্য বলেন ডাক্তার। ৬ জুন/২৪ তারিখে চমেক থেকে মুমূর্ষু ফজল হক রাজ মেস্তরীকে রিলিজ করে দেয়া হয়। বর্তমানে সে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড নুনারবিল গ্রামে নিজ বাসায় মৃত্যুক্ষণ গুনছে। কাঠ বোঝাই টিএস গাড়ির ধাক্কায় আহত ফজল হকের পরিবার জানায়, এ পর্যন্ত টিএস গাড়ির মালিক ফাইতং নিবাসী গাছ-পাথর ব্যবসায়ী আকবর দশ হাজার ও কয়েক দফে লামা মোটর সাইকেল সমিতির পক্ষ থেকে ৮ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়। তিনবার পেটের অপারেশন করাতে ও একমাস নয়দিন চমেক হাসপাতালে রেখে আহতের পরিবারের এপর্যন্ত দুই লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। অসহায় পরিবারটি বর্মানে একেবারেই নিঃস্ব। সমাজের বিত্তবানরা পারে মুমূর্ষু ফজল হককে চিকিৎ সহায়তা দিয়ে ভালো রাখতে। আহতের স্ত্রী মাজেদা জানান, সে টিএস 'লট নং- ১৬' এর মালিক আকবর, পিতা মোঃ সিরাজ, চালক ও নাম্বার-রেজিঃ বিহীন মোটর সাইকেল চালক মোঃ হাশেম, পিতা মোঃ কাশেম এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন। এদিকে টিএস এর মালিক আকবর জানায়, তার গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে নাই, তার পরও সে দশ হাজার টাকা সহায়তা করেছে। মোটর সাকেল চালকের বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।