gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
ডিভাইস আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন?
প্রকাশ : রবিবার, ৯ জুন , ২০২৪, ০৩:৩৩:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৩:০৬:২৯ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-06-09_6665706098ab2.jpg

এখন আর সেই আগের মতো খোলা আকাশের নীচে ঘুরে বেড়াতে চায় না মানুষ। ঘরের ভেতর ডিভাইসবন্দি হয়ে থাকতেই তাঁদের খুব পছন্দ। শুধু নবীন-প্রবীণরাই ডিভাইস আসক্তিতে আক্রান্ত নয়, শিশু-কিশোররাও এতে চরমভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, যা দিনদিন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিশুদের মধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব মা-বাবাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
খাবার সময়, হাটাচলার সময়, এমনকি রাতে ঘুমের সময়ও মোবাইল লাগে বাচ্চাদের। মোবাইল ছাড়া যেন একটি মুহুর্তও চলে না তাদের। এতে করে ওদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মনের বিকাশটা ওরা এখন মোবাইলের সঙ্গে করে থাকে। একটা দূরত্বও তৈরি হয়ে যাচ্ছে বাবা-মার সঙ্গে। বর্তমানে বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েরা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। দেখা যায় অনেক অভিভাবকও বাচ্চাদের শান্ত রাখতে স্মার্টফোন বা ট্যাবে গান, কার্টুন কিংবা মজার ভিডিও চালিয়ে দিয়ে থাকেন। যার ফলে দিন দিন শিশুদের মোবাইলসহ অন্যান্য ডিভাইসের প্রতি আসক্তি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মস্তিষ্ককেও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাছাড়া এর অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের চোখেরও ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেক বাবা-মাদের আগে থেকেই সাবধান হওয়া উচিৎ।
সন্তানের মোবাইল ফোনের আসক্তি কমাতে কিছু টিপস দেয়া হলো-
# অনেক বাবা-মা শিশুদের শান্ত করতে মোবাইলে গেইম, গান, কার্টুন কিংবা মজাদার ভিডিও চালিয়ে দেন। কিন্তু এটা করা একেবারেই উচিৎ নয়। শিশুর হাতে কোনও পরিস্থিতিতেই মোবাইল ফোন বা ভিডিও গেইম তুলে দেবেন না। এটি একেবারেই শিশুর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভালো নয়। তাছাড়া, এতে আপনার শিশুর মোবাইল ব্যবহারের বদভ্যাস তৈরি হতে পারে।
# এখনকার দিনে বেশিরভাগ মা-বাবাই চাকুরিজীবী। অফিসে খুব ব্যস্ত থাকায় শিশুর সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটানো হয়ে ওঠে না। ফলে শিশুরা ডিভাইসের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে। অনেক সন্তানই একাকিত্বের কারণে মোবাইল ফোনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তাই চেষ্টা করুন দিনের কিছুটা সময় আপনার সন্তানের সঙ্গে কাটানোর।
# অনলাইন ক্লাসের চাপে এখন শিশুদের ডিভাইস ব্যবহার অনিবার্য হয়ে উঠেছে। তাই মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দিলেও, তার একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। দিনের কতটা সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে, তা গোড়াতেই ঠিক করুন। অনলাইন ক্লাসের পর আর মোবাইল বা ল্যাপটপ তার হাতে দেবেন না। খাওয়ার সময়, হোমওয়ার্কের সময়, ঘুমানোর সময় এবং বাইরে গিয়ে খেলার সময় তার হাতে মোবাইল দেবেন না।
# শিশুরা সাধারণত বড়দের অনুকরণ করতে ভীষণ পছন্দ করে। তাই শিশুদের সামনে যত কম মোবাইল ব্যবহার করবেন ততই মঙ্গল। শিশুর সামনে মোবাইল হাতে রাখবেন না, কিংবা মোবাইলে গান শোনা, গেইম খেলা, গল্প বা চ্যাট করা এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলি দেখে বাচ্চাদের মনে মোবাইল সম্পর্কে কৌতুহল বাড়তে থাকে।
# অবসর সময়ে শিশুকে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। কোনও জিনিস বানানো, গল্পের বই পড়া, ছবি আঁকা, নাচ, গান কিংবা খেলাধূলা করা অথবা গাছের পরিচর্যা করা, ঘর গোছানো, ইত্যাদি কাজে তাকে ব্যস্ত রাখুন। বাড়ির কাছাকাছি কোনও পার্কে বা খেলার মাঠে নিয়ে যান খেলাধূলার জন্য। আশেপাশের স্পোর্টস ক্লাবে শিশুর নাম নথিভুক্ত করুন। প্রকৃতির সাথে পরিচয় করাতে নিয়মিত শিশুকে নিয়ে হাঁটতে বের হন। এতেও কমবে ফোনের আসক্তি।
# শিশুরা যেন আপনার অনুপস্থিতিতে মোবাইল ব্যবহার করতে না পারে, তাই মোবাইলে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন। সবসময় সন্তানের আশেপাশে থাকা এবং তাকে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত রাখা সম্ভব নয়। তাই আপনার ফোনে এমন পাসওয়ার্ড সেট করুন, যাতে আপনি দূরে থাকাকালীনও সে ফোন ব্যবহার করতে না পারে।
# ফোনের কোন কোন অ্যাপ আপনার সন্তান বেশি ব্যবহার করে, সেদিকে নজর রাখুন। ঐ অ্যাপগুলো দ্রুত ফোন থেকে মুছে ফেলুন। তাতে কিছুটা হলেও ফোনের প্রতি শিশুদের আগ্রহ কমবে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝