gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
gramerkagoj
আল শিফা হাসপাতালে গণকবর আর লাশ
প্রকাশ : শুক্রবার, ৭ জুন , ২০২৪, ০৯:৩৬:০০ পিএম
সম্পাদকীয়:
GK_2024-06-07_66632901a8e9b.jpg

গাজা সিটির সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান শেষে ইসরায়েল গত ১ এপ্রিল সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর ধ্বংসস্তুপের মধ্যে লাশের গন্ধে স্তব্ধ ফিলিস্তিনিরা। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে হাসপাতাল চত্বরটিতে ৪টি গণকবর আবিস্কৃত হয়েছে, যেখানে কয়েকশ’ মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি অনুসন্ধানী দল। গাজায় গত আট মাসের যুদ্ধে বার বার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে হাসপাতালগুলো। ইসরায়েলের দাবি, গাজার হাসপাতালগুলোকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস তাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। যদিও এ দাবি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে হামাস। কিন্তু গাজার একসময়কার সবচেয়ে বড় এবং সর্বোত্তম আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাযুক্ত হাসপাতাল আল-শিফায় ইসরায়েল যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা বলতে গেলে সবচেয়ে নাটকীয়।
হামাস আল-শিফা প্রাঙ্গণে নতুন করে সংগঠিত হয়েছে এমন দাবি করে ইসরায়েল হাসপাতালটিতে দুই সপ্তাহের আকস্মিক অভিযান চালায়। ইসরায়েল সরকার এ অভিযানকে ‘সুনির্দিষ্ট এবং সার্জিক্যাল’ (বেসামরিক মানুষ ও অবকাঠামোর ক্ষতি ছাড়াই নির্দিষ্ট সামরিক লক্ষ্যে আক্রমণ) বলে বর্ণনা করেছিল। এ অভিযানে ২শ’ সন্ত্রাসীকে হত্যার পাশাপাশি ৯০০ সন্ত্রাসীকে ধরা হয়েছে এবং কোনও বেসামরিক নাগরিকেরই মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। আল-শিফা প্রাঙ্গণে বালির মধ্য থেকে বেরিয়ে আসা একের পর এক পচা গলা মৃতদেহ ইসরায়েলের ওই দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গাজার আল-শিফা এবং নাসের হাসপাতালে গণকবর আবিষ্কারের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেখানকার অভিযানে ইসরায়েলের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ খতিয়ে দেখতে তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মিলে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু এই উদ্বেগ, এই আহবান কতোটা তাদের সারা দেবে সেটাই প্রশ্ন। শুধু উদ্বেগ প্রকাশ নয়, প্যালেস্টাইনকে অবিলম্বে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে সেখানে যুদ্ধ বন্ধ করা জরুরি।

আরও খবর

🔝