gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ সাবধান!

ভয়ংকর রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়েছে
প্রকাশ : রবিবার, ২ জুন , ২০২৪, ০৪:৩৮:০০ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-06-02_665c4bb19c4e9.jpg

বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার এখন চরাঞ্চলের মানুষের এক আতঙ্ক। এক সময় বাংলাদেশের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে রাসেলস ভাইপার বেশি দেখা গেলেও বর্তমানে পদ্মাতীরবর্তী কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভয়ংকর সাপটি। উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতেও এর দেখা মেলে। গেল দুই সপ্তাহে এ সাপের কামড়ে কয়েকজন মারাও গেছেন। ভয়ঙ্কর এই সাপের উপদ্রব বেড়েছে উদ্বেগজনকহারে।
পৃথিবীতে বিষধর সাপ হিসেবে রাসেল ভাইপারের অবস্থান পাঁচ নম্বরে হলেও হিংস্রতা আর আক্রমণের দিক থেকে এর অবস্থান প্রথমে। এরা আক্রমণের ক্ষেত্রে এতই ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ের ভেতরে কামড়ের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। এই বিষধর সাপটি এতোই বিদজনক যে নিজে থেকে ছুটে এসে আক্রমণ করে মানুষকে। বিষ প্রয়োগে সময় নেয় এক সেকেন্ডেরও কম। কোনো অ্যান্টি ভেনম নেই। সাপটির বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।
অন্যান্য সাপ যেখানে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০টি ডিম পাড়ে, সেখানে এই সাপটি ডিম তো পাড়েই না বরং একসঙ্গে ৬০ থেকে ৮০টি বাচ্চা ফুটায়! বিশেষ করে নদীর অববাহিকায় এবং চর এলাকায় এখন এই সাপটির জন্য উপযুক্ত বংশবৃদ্ধির স্থান।
এই প্রজাতির সাপের কামড়ের কিছুক্ষণ পরই দংশিত স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যথার পাশাপাশি দংশিত স্থান দ্রুত ফুলে যায় এবং ঘণ্টা খানিকের মধ্যে দংশিত স্থানের কাছে শরীরের আরও কয়েকটি অংশ আলাদাভাবে ফুলে যায়।
এই সাপের কামড়ে শরীরের দংশিত অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ ভারী হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত, কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিষাক্ত। বাংলাদেশে শঙ্খিনী সাপ কমে যাওয়ায় রাসেল ভাইপারের প্রাকৃতিক প্রজনন বেড়ে গেছে। শঙ্খিনী সাপের মূল খাদ্যই ছিল এই সাপটি।
বন্যার কারণে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে এই সাপ বাংলাদেশে চলে এসেছে। কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সাপটি দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায়, বিশেষ করে পদ্মা তীরবর্তী কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে বিষাক্ত এই সাপের কামড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, মারাও গেছেন।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, সাপের এই প্রজাতিটি বাংলাদেশ থেকে বহু বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত ১০-১২ বছর আগে থেকে আবারও এই সাপের কামড়ের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঝোপ আর পরিত্যক্ত জমি অপেক্ষাকৃত কমে যাওয়ায় এই সাপ কৃষি জমিতেই থাকে, যার ফলে যারা মাঠে কৃষিকাজ করেন তারা রাসেলস ভাইপারের দংশনের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়ে থাকেন। এ ছাড়া বর্ষাকালে নদীর পানি বাড়ার ফলে ভারতের নদ-নদী থেকে ভেসেও এই সাপ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝