gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে কাঠালিয়ার মমতাজ বেগম
প্রকাশ : বুধবার, ২৯ মে , ২০২৪, ১১:১০:০০ এএম , আপডেট : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৩:০৬:২৯ পিএম
কাঠালিয়া সংবাদদাতা:
GK_2024-05-29_6656b8c6ca284.jpg

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন মমতাজ বেগম। এ ঝড়ে তার ঝুপড়ি ঘরটি উড়ে গেছে। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে মাথা গোঁজার ঠাই। মমতাজ বেগমের বাড়ি কাঠালিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিন আউরা গ্রামে। টাকার অভাবে তিনি ঘরটি মেরামত করতে পারেননি এখনও। কোনরকম সহযোগিতাও জোটেনি তার কপালে। কোনমতে চালায় সংসার। নিরুপায় হয়ে বসতভিটার ওপর ছাপড়া দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। দিনের বেলা কোনমতে পার হলেও রাত কাটে ভয়ে। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকমের সহযোগিতা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মমতাজ বেগম। তার বাড়িতে গেলে দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, ‘ও ভাই আপনারা কী ঝড়ে যাগো ঘর ভাইঙ্গা গেছে হেগো নাম নেন? আমার ঘরডা ভাইঙ্গা চুরমার হইয়া গেছে। পারলে মোর একটা ঘরের নাম দিয়েন। মোর দারে টাহা নাই, আপনেগো জন্য দোয়া করমু, তবুও মোর নামটা রাইখেন।’ সামান্য সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে কোনরকম টিনের বেড়ার নড়বড়ে ঘর তোলেন। অন্তত: মাথা গোঁজার মত একটু ঠাঁই ছিলো-কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাও কেড়ে নিলো। দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে গেছে আশ্রয়ের শেষ ঠিকানা। মমতাজ বেগম বলেন, ঘর ভাঙ্গার পর ঘরের জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে আবেদন করিছিলাম- ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন করিছিলাম। এখনও পর্যন্ত তো কিছুই পাইলাম না। এছাড়া কোনরকম ত্রাণও পাইনি, খোলা আকাশের নীচে জীবনযাপন করছি। খোলামেলা ঘরে দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটছে দিনগুলো। অনেক চিন্তা হয়। গরীব বলে মোগো খবর কেউ রাখে না। ডিসি স্যারে কিছু ঢেউটিন দিলে সবাইরে লইয়া একটু শান্তিতে ঘুমাইতে পারমু।
কাঁঠালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাদল হাওলাদার জানান, মমতাজ বেগম অসহায় ও গরীব। ঘরটি ভেঙ্গে পড়ায় অনেক কষ্টে ছাপড়ার মধ্যে গাঁ ঠাসা দিয়ে থাকেন। সরকারিভাবে ঢেউটিন পেলে অনেক উপকার হতো পরিবারটির। তবে শুনেছি ঢেউটিনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন তিনি-ঘুর্ণিঝড় রেমালের কারনে ব্যাপকহারে পানি বৃদ্ধি হয়েছে। পানি প্রবেশ করে তার ঘরের বেতারে প্লাবিত হয়েছে। মমতাজ বেগম ' সাংবাদিকদের বলেন, ডুবে গেছে ফসলি জমি, সবজির বাগান খেত, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি 'ভেসে গেছে চাষের মাছ। ঘুর্ণিঝড় রেমাল নিমিশেই শেষ করে দিয়ে গেল। দক্ষিন আউরা গ্রামে বন্যার কারনে পানি বন্ধী রয়েছে মমতাজ বেগম বলেন, আমার প্রচুর ফসল, সবজির খেত নানান ধরনের শাক শবজিসহ বিভিন্ন ফসল ঘুর্ণিঝড় রেমাল নষ্ট করে দিয়েছে। এবং ঘরের অবস্থা ভালো না, টিন বাতাসে নিয়ে গেছে, হাস মুরগী মারা গেছে পানিতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছেন।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝