শিরোনাম |
যশোরের কেশবপুর থানার ওসি ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ওসির রুমে আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন কেশবপুর মধ্যকুল গ্রামের নুর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
আসামিরা হলেন কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহির উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও আলতাপোল গ্রামের সেলিমুজ্জামান আসাদ। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হক।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জাহাঙ্গীর আলম একজন ঘের ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি মধ্যকুল মৌজায় ৪শ’ ৫০ বিঘা জমি ২শ’ ১৪ জন মালিকের কাছ থেকে এক কোটি আশি লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ওই জমির গা ঘেঁষে ১শ’ কৃষকের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে ঘের করার চুক্তি করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মফিজ ও আসাদ বাদী জাহাঙ্গীরের লিজ নেয়া জমি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। এ বিষয় নিয়ে বাদী কেশবপুর থানায় জিডি করতে গেলে থানা তা গ্রহণ করেনা।
সর্বশেষ গত ১ মে থানার পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন জোরপূর্বক জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে থানায় ওসির রুমে নিয়ে যান। তিনি সেখানে যেয়ে দেখেন তিন আসামিই উপস্থিত রয়েছেন। এসময় ওসি জহির বাদীকে তার জমি মফিজ ও আসাদকে হস্তান্তর করতে বলেন। তিনি রাজি না হলে ১৫ দিনের মধ্যে জমি হস্তান্তর না করলে গুলি করে হত্যা করে ক্রস ফায়ারের নামে চালিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। শেষমেষ তাকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেয়া হয় বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন।
কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিনের কাছে জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজের মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘নেটওয়ার্কের সমস্যার মধ্যে রয়েছি। এ বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলবো।’