কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরির হাতে গড়া পোতিষ্টান ভারতের শান্তিনিকেতন। স্যানে শুদু ভারতের লোকজনই পড়ে না, তামান দেশেত্তে লোকজন আসে স্যানে লিকাপড়া কত্তি। উচ্চতর লিকাপড়ার সাতে সাতে শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে যাইগের বেশি আগ্রহ তাইগের স¹লির চোক থাকে এই শান্তি নিকেতনের দিকি।
একবার সেই শান্তি নিকেতনের অধ্যক্ষ স্যারের কাছে গুরুতর এক অভিযোগ নিয়ে হাজির এক জাপানী শিক্কের্থী। বন্নবাদী আচরনের শিকার এই বিষয়ে নালিশ নিয়ে গেচেন তিনি। পিন্সিপাল স্যারতো অভিযোগ পাইয়ে আকাটা মাইরে গেলেন। বাঙালীর অতিথিপরায়নতার গব্বোর জাগায় ইরাম বইদরাম তিনিও মাইনে নিতি পাল্লেন না। তাই বিষয়ডা আমলে আইনে তিনি সেই জাপানী শিক্কের্থীরে ডাইকে নিয়ে আসলেন তার খাস খামরায়। তারে অনেক বুজবাজ দিয়ে অবলাস্টে কলেন, বাবা তুমি যে অভিযোগ আনিছো সিডা এট্টু হেজেমানে কইরে কওদিনি। কেন তুমার মনে হয়েচে যে তুমি বন্নবাদীর শিকার। কিডা তুমারে কি কইরেচে তুমি নিবভয়ে কও আমারে। এই কতা শুইনে সেই জাপানী ছাত্তডার চোকি পানি আইসে যাওয়ার জুগাড়। সে তকন পিন্সিপ্যাল স্যাররে কলে, স্যার আমাগের কিলাসে স¹লি যারা এক সাতে পড়ি তাইগের সবাই কি সুন্দর কইরে ডাকে। যিরাম রাজীবরে কয় রাজীব দা, রাহুল রে কয় রাহুলদা, উৎপলরে কয় উৎপল দা। কিন্তুক আমার বেলায় স¹লি আমার শুদু নাম ধইরে ডাকে। কেউ আমার শেষে দা যোগ কইরে ডাকে না স্যার। আমি ভিনদেশতে আইছি বিলে আমি কি ওগের দা ডাকটা শুনতি পাব না? ছাত্তরের কতা শুইনে পিন্সিপাল স্যার কলেন বাবা তুমি যা কচ্চো সিডা লিগাল কতা। তুমারেও দা কইয়ে ডাকা উচিত। ঠিক আছে আমি স¹লিরে কইয়ে দিবানে যাতে নামের শেষে তুমারও স¹লি দা বইলে ডাকে। তা বাবা তুমার নামডা কি কওদিনি। জাপানী সেই ছাত্তর আল্লাদে গদগদ হইয়ে কলে, স্যার আমার নাম বুকা চু।
নাম শুইনে স্যার তো পুইতে যাওয়ার জুগাড়। কাছে আইসে তার মাতায় হাতবুলোয় কলেন, বাবা ছেলেপিলের আসলে দোষ নেই, তুমার দা শুনাডা কপালে নেই।
আমাগের আশপাশে ইরাম কান্ড হরহামেশায় ঘটছে যা দেইকে জাপানী ছ্যামড়াডার কতা মনে পইড়ে যাচ্চে। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা