gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২১ মে ২০২৪ ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ

ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত সাধারণ পরিষদের
প্রকাশ : শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪, ০৩:২৫:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2024-05-10_663de7f82beff.jpg

বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থার সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ইস্যুতে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মতামত প্রকাশের জন্য স্থানীয় সময় শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার) একটি রেজোল্যুশন উত্থাপন করা হবে এবং সেটির পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানানো হবে।
রেজোল্যুশনটির মূল বিষয়বস্তু হলো, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ প্রদানের ব্যাপরে নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান।
জাতিসংঘের মোট সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৩টি। ফিলিস্তিনিদের দাবির প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন রয়েছে কি না— তা ও যাচাই করা সম্ভব হবে শুক্রবারের ভোটের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত কোনো রাষ্ট্র যদি জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ চায়, সেক্ষেত্রে সেই রাষ্ট্রকে অবশ্যই সংস্থাটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ জোগাড় করতে হবে। এই সুপারিশ নেওয়ার পর সাধারণ পরিষদে আবেদন করা হলে আবেদনের ওপর ভোট হবে। সাধারণ পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য যদি আবেদন মঞ্জুরের পক্ষে ভোট দেয়, তাহলেই জাতিসংঘের সদস্যপদ পাবে সেই রাষ্ট্র।
জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকা— তিন ভূখণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র। তবে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জয়ী হয়ে এই তিনটি ভূখণ্ডই দখল করে ইসরায়েল।
পরে ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে অসলো চুক্তিতে ফিলিস্তিনকে নিজস্ব প্রশাসন ও সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়, কিন্তু তাদের রাষ্ট্রের সম্মান দেওয়া হয়নি। তবে ভবিষ্য়তে যাতে তারা রাষ্ট্রের সম্মান পেতে পারে, সেই রাস্তা তৈরি করে রাখা হয়েছিল। তারপর থেকেই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ফিলিস্তিন।
সেসব চেষ্টার ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে জাতিসংঘে প্রবেশের অনুমতি পায় ফিলিস্তিন। এই ক্যাটাগরিভুক্ত দেশ বা ভূখণ্ডগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচনা-বিতর্কে যুক্ত হতে পারে, কিন্তু উত্থাপিত কোনো প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ফের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য তৎপরতা শুরু করে ফিলিস্তিন। নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে আবেদনও করেছিল জাতিসংঘের ফিলিস্তিন প্রতিনিধি দল। তবে ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই আবেদন।
নিরাপত্তা পরিষদকে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাতেই শুক্রবার ভোট হবে সাধারণ পরিষদে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘ মিশনের এক সদস্য রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে এবং আমরা বিশ্বাস করি যে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী স্থিতিশীলতার জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গঠন প্রয়োজন।’
‘তবে আমরা এ ও মনে করি যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নেতাদের সংলাপ ও মতৈক্যের ভিত্তিতেই স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এখানে জাতিসংঘ দপ্তরে কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তা সম্ভব নয়। এ কারণেই আমরা ১৮ এপ্রিলের প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছিলাম।’

আরও খবর

🔝