gramerkagoj
সোমবার ● ২০ মে ২০২৪ ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় নির্বাচন

মণিরামপুর ও কেশবপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
প্রকাশ : বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ০৯:৪৪:০০ এ এম , আপডেট : রবিবার, ১৯ মে , ২০২৪, ০৪:৩৩:৩৮ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-05-08_663af571315d2.jpg

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে যশোরের মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যায়। তবে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতিও বাড়তে শুরু করেছে।

মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলায় ভোট নেয়া হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে। এরমধ্যে কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে একবার ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলেও মণিরামপুরে এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে।

মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন।

কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন। তারা হলেন, উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না, বর্তমান পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার সাদেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক এসএম মাহবুবুর রহমান, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুর রহমান ও ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক।

বুধবার সকাল থেকে মণিরামাপুর ও কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের উপস্থিতি খুব বেশি না। ভোটাররা একটু ধীরে সুস্থে কেন্দ্রে আসতে চাচ্ছেন বলে জানান একজন ভোটার। কেন্দ্রগুলোতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্যে রয়েছেন আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা। বিজিবি সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স সদস্যরা ছুটে চলেছেন এক কেন্দ্র থেকে আর এক কেন্দ্রে।

এদিকে, ভোট কেন্দ্র এবং এর আশপাশে প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তারা ভোটারদেরকে নানাভাবে সহায়তা করার পাশাপাশি নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সকাল থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

যশোরের দুটি উপজেলার পাশাপাশি দেশের ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এ ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে অর্থাৎ মোট ২৮ জন প্রার্থী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। ইসি জানায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ উপজেলার তিন পদে সবাই নির্বাচিত হয়েছে। তাই ওই পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। উপজেলাগুলো হলো নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার শিবচরসহ পাঁচটি উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

আরও খবর

🔝