শিরোনাম |
মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রচেষ্টায় গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে হামাস রাজি হলেও তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আপত্তিকে উপেক্ষা করে নেতানিয়াহুর নির্দেশে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের দিকে এগিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে তারা রাফা ক্রসিং দখলে নিয়েছে।
মঙ্গলবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফাহ-এর পূর্ব অংশে ট্যাংকসহ সব ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করেছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু হবে।
স্থলবাহিনীর এই অগ্রগতির মধ্যেই বিমান হামলা জোরদার করা হয়েছে। সোমবার রাতে শহরের অন্তত ৫০ জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পর সেটাকে উপযুক্ত নয় বলে প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহু সরকার। একই সঙ্গে ইসরায়েল রাফায় বড়ো ধরনের স্থল অভিযান চালানোর অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
রাফার কুয়েতি হাসপাতাল বলছে, গতরাতের ইসরাইয়েলী হামলার পর তারা পাঁচজন শহীদ এবং কয়েকজন আহতকে পেয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্রসমূহ বলছে, এলাকাটিতে বর্তমানে ইসরায়েল তাদের হামলার কর্মকাণ্ড জোরদার করেছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাফায় অভিযানের বিষয়ে নেতানিয়াহুকে আবারো সতর্ক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, হামাস গাজায় জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, বাইডেন সোমবার আবারো রাফা নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবায়নযোগ্য কোন মানবিক পরিকল্পনা দেখছে না।
সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, আমরা মনে করি রাফায় এ মুহূর্তে অভিযান চালালে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগকে রাতারাতি বাড়িয়ে তুলবে এবং বেসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যাবে।