শিরোনাম |
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের চেয়ে আইফোন ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে থাকেন যে তাদের ফোন কখনই হ্যাক হতে পারে না। আবার অনেকে মনে করেন অ্যানড্রয়েড থেকে আইফোন নিরাপদ। সুরক্ষার স্বার্থে তাই লাখ টাকা খরচ করে আইফোন কেনেন অনেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ফোনও হ্যাক হতে পারে। আপনাকে বিপদে ফেলার জন্য হ্যাকাররা সারাক্ষণ ফাঁদ পেতে বসে আছে। তাই আগে ভাগে এই টিপসগুলো মেনে নিজের আইফোন সুরক্ষিত করুন।
ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়া
ফোন হ্যাক হয়েছে কি না বুঝতে ব্যাটারি কতটা তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছে তা খেয়াল রাখুন। ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যারের ক্ষেত্রে যেহেতু সব অ্যাপগুলো অ্যাক্টিভ থাকে তাই খুব সহজেই ব্যাটারি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। বেশিরভাগ সময় ফোনের অ্যাপ চলতে থাকলে সারাক্ষণ ফোন গরম থাকবে, এটিও ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার একটি লক্ষণ।
মোবাইলের ডাটা ব্যবহার
ফোনের ডাটা যদি খুব দ্রুত গতিতে ব্যবহার হতে থাকে তবে বুঝতে হবে যে ফোন হ্যাক হয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অ্যাপ থেকে ডাটা নেওয়ার সময় মোবাইলের ডাটা ব্যবহার হয় বলে খুব তাড়াতাড়ি নেট ডাটা খরচ হতে থাকে।
অজানা অ্যাপ ইনস্টল
যদি আমাদের ফোন ব্যবহারের সময় দেখা যায় যে আমাদের ফোনে কোনও অজানা অ্যাপ ইনস্টল হয়েছে, যা আমরা ইনস্টল করিনি তবে বুঝতে হবে যে ফোন হ্যাক হয়েছে। এছাড়াও অনেক অ্যাপ রয়েছে যা বিভিন্ন নামে আমাদের ফোনে ইনস্টল হয়ে যায়, সেটিও ফোন হ্যাকিংয়ের লক্ষণ।
আইফোন স্লো হয়ে যাওয়া
যদি আমাদের আইফোনটি ধীরে ধীরে কাজ করতে থাকে তবে বুঝতে হবে এটি ভাইরাসে আক্রান্ত। অনেক সময়ই দেখা যায় ফোনটিকে বারে বারে রিস্টার্ট করতে হচ্ছে বা কোনো ওয়েবপেজ সঠিক ভাবে খুলছে না, তাহলেও বুঝতে হবে ফোনটি হ্যাক হয়েছে।
অ্যাপ কাজ করছে না
যদি দেখা যায় আমাদের আইফোনের অ্যাপগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে না বা ফোনের অ্যাপগুলো হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বুঝতে হবে ফোনটি হ্যাক হয়েছে। এটি হয় কেন না অ্যাপের মেমোরি এই ক্ষেত্রে স্পাইওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং অ্যাপগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
সূত্র: দ্য সান