gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৭ মে ২০২৪ ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে

স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:১৪:০০ পিএম , আপডেট : রবিবার, ৫ মে , ২০২৪, ১১:০৬:৫৪ এ এম
ঢাকা অফিস:
GK_2024-04-26_662b56dd47574.jpg

একটি বহুতল ফ্লাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ওই ভবন থেকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। উপজেলার মুলাইদ গ্রামের ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে তারা মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন।
নিহতরা হলেন, শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার হলদি গ্রামের মফিজুল হকের ছেলে মো. ইসরাফিল (১৭) ও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রোকেয়া খাতুন (১৫)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে তারা পরিবারের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করেন। এরপর তারা শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।
নিহত রোকেয়ার ভাই বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেন। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। এরপর সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।
নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মরদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।
মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’
শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

আরও খবর

🔝