শিরোনাম |
❒ পর্যটক শুন্য কুয়াকাটা!
অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে এবং অসহ্য গরমে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে পর্যটন কেন্দ্র সাগরকন্যা কুয়াকাটা। কোথাও নেই পর্যটকদের কোলাহল। সৈকতজুড়ে শুধু ধু-ধু বালুচর। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রে কমে গেছে পর্যটক। দীর্ঘ সরকারি ছুটিতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পর্যটক। কিন্তু দীর্ঘ এ ছুটিতে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসেনি পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তারা বলেছেন, অস্বাভাবিক তাপ প্রবাহের কারণে এবার পর্যটক কমেছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, প্রতিদিন এখানে অনেক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটত। সকাল, দুপুর, বিকাল কিংবা গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় সাগরতট থাকত মুখরিত। পর্যটন স্পটগুলোতেও ছিল পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। সাগরের ঢেউ গর্জন করে তীরে আঁছড়ে পড়ছে। দেখলে মনে হয় যেন এসব মনোরম দৃশ্য দেখার কেউ নেই। কিছু পর্যটক থাকলেও তারা দিনের বেলা হোটেল থেকে বের হচ্ছে না প্রচন্ড গরমের কারণে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো হয়ে পড়েছে একেবারে গ্রাহকহীন। এদিকে কলাপাড়াসহ উপকূলজুড়ে অসহ্য তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসেও মিলছে না স্বস্তি।
কুয়াকাটা সৈকতে চটপট্রি বিক্রেতা আলামিন বলেন, ঈদুল ফিতর ও বৈশাখ উপলক্ষে অনেক পর্যটক ভিড় ছিল। এখন অস্বাভাকি তাপপ্রবাহের কারনে পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে।
হোটেল গ্রান্ড সাফা ইনে ম্যানেজানর মো. সাইদুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে কুয়াকাটা পর্যটক নেই। বর্তমানে হোটেলের বিদ্যুৎ বিল ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, গরমে পর্যটক এসে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। যে কারণে মানুষ এসে টিকতে পারছেন না। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিছু ট্যুরিস্ট আসছিল এরপর থেকে প্রচন্ড গরমের কারণে বর্তমানে হোটেল-মোটেলের সিট ফাঁকা রয়েছে। সাগরের পাড়ে এসে মানুষ উত্তাপে টিকতে পারছে না। লবণাক্ত পানিতে শরীর শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। বেড়িবাঁধে গাছপালা যা ছিল, কাজ করতে গিয়ে কেটে ফেলেছে।
খেপুপাড়া রাডার ষ্টেশনের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. জিল্লুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ০ ডিগ্রিসেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরও এক সপ্তাহ এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তাই তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ তাদের। আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টি না হলে অন্য সিমটম দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।