gramerkagoj
শুক্রবার ● ৩ মে ২০২৪ ২০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
পেয়ারার প্রাকৃতিক গুনাগুন
প্রকাশ : রবিবার, ২১ এপ্রিল , ২০২৪, ০৮:৫৫:০০ পিএম , আপডেট : বুধবার, ১ মে , ২০২৪, ০৩:১৯:৩৪ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-04-21_662529282234d.jpg

পেয়ারায় কমলার চেয়ে ৪ গুণ ভিটামিন-সি বিদ্যমান। শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সক্রিয় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান হচ্ছে পেয়ারা। গবেষণায় দেখা গেছে, যেকোন ঋতুতে শরীর সুস্থ রাখতে পেয়ারা দারুণ কার্যকরী। তাজা পেয়ারার এক টুকরোতে এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে খেতে কতই না সুস্বাদু তা আমরা সবাই জানি।
মস্তিষ্ক সুরক্ষায় কাজ করে পেয়ারা। শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যাতে কম করে ৯০ বছর পর্যন্ত ঠিক মতো কাজ করতে পারে, সেদিকে ও নজর রাখে এই পেয়ারা।
তাই শরীর সুস্থ রাখতে পেয়ারার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
পেয়ারা এর উপকারিতা
১. প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খেলে দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এর প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে না।
২. নিয়মিত পেয়ারা খেলে ভিটামিন ‘এ‘ এর আভাব পূরণ করে, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।
পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন বি এবং ভিটামিন বি সিক্স মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে কার্যকারিতা ঠিক রাখে।
৩. পেয়ারাতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়।
৪. পেয়ারাতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে, যা অনাক্রম্যাতাকে উন্নত ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এটা তাকে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৫. গর্ভবতী মহিলারা বেশি উচ্চ রক্তচাপ প্রবণ হয়ে থাকেন। এটি গর্ভাবস্থায় জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
গর্ভবতী মহিলারা যদি রোজ একটা পাকা পেয়ারা খান তবে তা তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৬.গর্ভাবস্থায় পেয়ারার উপকারিতা
শিশুদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র তৈরিতে ফলিক অ্যাসিড খুবই প্রয়োজনীয়। পেয়ারা ফলিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ তাই গর্ভযাত শিশুদের উপকারের স্বার্থে, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়া উচিৎ।
৭. পেয়ারাতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। পেয়ারা হরমোনের বৃদ্ধি ঘটায় এবং বিপাকে সাহায্য করে।পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ থাকে।
এতে থাকা কপার থাইরয়েডের জন্য দারুণ উপকারী।
৮. রোজ একটি করে পেয়ারা খেলে, তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে যা অন্ত্রে বাল্ক-এর সৃষ্টি করে, মলত্যাগের জন্য উপযক্ত চাপের সৃষ্টি করে।
৯. রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে পেয়ারায় বিদ্যমান তন্তুজাতীয় উপাদান সাহায্য করে। আমরা জানি পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এটি শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমায়, এতে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।
এটি শরীরের সোডিয়াম ও পটাসিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হার্ট ভালো থাকে।
১০. ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটা মজবুত করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও ধরনের রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি।
১১. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে পেয়ারার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
পেয়ারায় উপস্থিত লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়।
ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
পেয়ারার রাসায়নিক উপাদান
পেয়ারাতে যে সমস্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য-
ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি২, কে, বেটাক্যারোটিন, লাইকোপেন, আঁশ, ফসফরাস, আয়রন, কপার, ভিটামিন সি, লাইকোপেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যাস্ট্রিজেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবাল, শর্করা ইত্যাদি।

আরও খবর

🔝