শিরোনাম |
❒ মোরেলগঞ্জে পরিবহন দুর্ঘটনায় ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে ধ্বস
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের বারইখালী ও নব্বইরশি সংযোগ স্টিল ব্রিজে জিএমএস ঢাকা পরিবহন ধাক্কা দেয়। এ দুর্ঘটনায় ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে ধ্বসে পড়েছে। এ কারণে বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৩টা থেকে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ রুটে ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহণ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম জনভোগান্তিতে পড়েছে জনগন। সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়ে ঘন্টার ঘন্টা অপেক্ষায় রয়েছে বিভিন্ন কর্মস্থলে যাওয়া মানুষগুলো। অথচ এ দুর্দশা লাঘবে সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন পদক্ষেপ।
সরেজমিনে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে ঢাকাগামী জিএমএস যাত্রীশূণ্য পরিবহণটি শরণখোলার উদ্দেশ্যে যাবার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বারইখালী নব্বইরশি স্টিল ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা দিয়ে ভেঙ্গে ঢুকে যায়। এসময় পরিবহনের সম্মুখ অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ব্রিজের পশ্চিম অংশ ধ্বসে পড়ে। এ ঘটনার পরই সকাল থেকে শরণখেলা, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শরণখোলা থেকে যাত্রীরা চলচলে পড়ছে বিপাকে, ইজিবাইক, টমটম ও ভ্যানে করে দুর্ঘটনা কবলিত ব্রিজের এক পাশ দিয়ে ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়ে দীর্ঘ লাইনে পরিবহনগুলো অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। মাঝপথে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে গাড়িগুলো। অসুস্থ রুগী, বয়বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে প্রচন্ড তাপদাহে বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌছাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এদিকে, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাঁচা সবজিসহ বিভিন্ন মালামাল বহনকারী পরিবহন ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষা করে বিকল্পভাবে মালামাল খালাস করছে।
দূর পাল্লার যাত্রী আসমা আক্তার, নুরজাহান বেগম, এনজিও কর্মকর্তা শওকত চৌধুরী, শিক্ষক রেদওয়ান ইসলাম, শ্রমিক রুস্তুম শেখ, মাহেন্দ্র চালক ছাইদুল মোল্লাসহ দুর্ভোগে পড়া একাধিক যাত্রী বলেন, এদিন রাত ৩টায় ঝুকিপূর্ণ ব্রিজে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত দেড় বছর ধরে পাশের ব্রিজের ধীরগতিতে কাজ চলছে। এ দুর্ঘটনার ৭ ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছে, সেই থেকে যানজট লেগেই আছে। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয় কয়েকজন যুবক যানজট নিরসনের চেষ্টা করছে। দ্রুত দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহনটি অপসারন করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার পাশাপাশি নতুন ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবী জানান স্থানীয়রা।
এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম তারেক সুলতান বলেন, বারইখালী স্টিল ব্রিজে পরিবহন দুর্ঘটনার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ভারি রেকার না থাকার কারনে তারা কাজ করতে পারছে না। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেকার দিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি অপসারণ করে দ্রুত জনগনের চলাচলের ব্যবস্থার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সড়ক ও জনপথের বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন বলেন, মোরেলগঞ্জে স্টিল ব্রিজে দুঘটনায় কবলিত পরিবহনটি ভারী রেকারের মাধ্যমে অপসারনের জন্য ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ সুপারের সাথে কথা হয়েছে। জেলা প্রশাসক নির্দেশনাও দিয়েছেন। বাসটি অপসারনের পরে সরেজমিনে দেখে সংস্কারের কাজটিও দ্রুত করা হবে বলে জানান তিনি।