শিরোনাম |
যশোরের শার্শা উপজেলার বহিলাপোতা গ্রামে জমাজমি সংক্রান্ত উভয় পক্ষের মারামারিতে আবু কালাম (৩০) গুরুতর জখম হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। প্রতিপক্ষের দ্বারা আবু কালাম গুরুতর জখম হয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ায় প্রতিপক্ষরা কাউন্টার মামলা দায়ের করার জন্য আব্দুর রশিদসহ ৩/৪ জন ইচ্ছাকৃতভাবে একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে আবু কালামের বড় ভাই জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে শার্শা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। গত ২৯ মার্চ ১২টার দিকে প্রতিপক্ষ বহিলাপোতা গ্রামের মৃত সিরাজউদ্দীনের ছেলে আব্দুল মজিদ (৬০), আব্দুর রশিদ (৫২), জাহাঙ্গির (৪৬), আব্দুল মজিদের ছেলে হাদিউজ্জামান (৩৮), আব্দুর রশিদের ছেলে শাহিন হোসেন (৩০), বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৩৮) অতর্কিতভাবে আবু কালামের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং বলে যে ‘তোকে আজ দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবো।’
আবু কালাম এ প্রতিনিধিকে জানান, আমি একজন চা দোকানি। আমাকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় তারা আমাকে বেধড়ক মারপিট ও রক্তাক্ত জখম করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় লক্ষণপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বারের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আব্দুল জব্বার প্রতিপক্ষ বিবাদী আব্দুর রশিদের পক্ষ নিয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জের নাম করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, বহিলাপোতার সংঘর্ষের বিষয়টি আমি জানি। উভয় পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে এবং ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার আমার নাম করে অর্থ আদায়ের বিষয়টিও আমি জেনেছি। তবে তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।