gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনেই অধ্যক্ষকে জুতা-ডিম নিক্ষেপ
প্রকাশ : বুধবার, ৩ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:০৮:০০ পিএম
জাহাঙ্গীর আলম,মণিরামপুর (যশোরে):
GK_2024-04-03_660d805b517bd.webp

যশোরের মণিরামপুরে পরীক্ষা কক্ষে নকলসহ ধরা পড়ার পর সুইসাইড নোট লিখে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনার সরেজমিনে তদন্তে আসেন জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এ সময় তাদের সামনে গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে জুতা ও ডিম ছুড়ে মারা হয়। এমনকি অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের মারধর করে স্থানীয় কিছু লোক ও শিক্ষার্থীরা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শুধু তাই না, বিক্ষুব্ধদের ঠেকাতে গিয়ে কমবেশি আহত হন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্তত ১০ জন। বুধবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজেই।
ওই কলেজের আহত শিক্ষক চিন্ময় কুন্ডু বলেন, বুধবার কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা চলছিল। এর মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন ও মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করতে কলেজে আসেন। তারা অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকতেই বাইরে থেকে একদল নারী-পুরুষ কলেজ চত্বরে ঢুকে পড়ে। বাইরের লোকজনের সঙ্গে কলেজের বর্তমান ও পুরানো কিছু শিক্ষার্থী ছিল। তারা কলেজ চত্বরে লাঠিসোটা, পচা ডিম, টমেটো ও জুতা নিয়ে তারা সরাসরি অধ্যক্ষের কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন শিক্ষক-কর্মচারীরা অধ্যক্ষের কক্ষের প্রবেশপথে বেষ্টনী দেয়। হামলাকারীরা বাধা পেয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। শিক্ষকদের মুখে জুতা দিয়ে মেরেছে। পচা ডিম ও টমেটো ছুঁড়ে মেরেছে। দুই-তিনজন কর্মচারীর জামা টেনে ছিঁড়ে দিয়েছে। অন্তত ১০ জন মারধরের শিকার হয়েছে। তারা কয়েকটি চেয়ার ভেঙেছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম ও আব্দুস সাত্তার বলেন, একপর্যায়ে বাধা ভেঙে দুই নারীসহ কয়েকজন ডিম ও জুতা নিয়ে ভেতরে ঢুকে অধ্যক্ষের ওপর হামলা করেছে। তারা অধ্যক্ষকে কিল-ঘুষি মারে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন,আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আমাদের ওপর হামলার ঘটনার সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত, কেউ প্রতিষ্ঠানে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, আপনারা যা শুনেছেন সব সত্যি। আমি মানসিকভাবে অসুস্থ। কারও সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাই না।
পরিস্থিতি সম্পর্কে ওসি (তদন্ত) পলাশ কুমার ও নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
তদন্তে যাওয়া যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সরকার বলেন, গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করতে আঞ্চলিক উপপরিচালকের নির্দেশে আমরা কলেজটিতে গিয়েছিলাম। সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা চলা অবস্থায় বহিরাগত কিছু লোক এসেছিল। আমরা কক্ষের ভেতরে ছিলাম। মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। ঘটনা তদন্তে অন্য তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

 

আরও খবর

🔝