শিরোনাম |
এক বুড়ো একবার তীত্থ যাত্তারা করবে মনোস্তির কইরেচে। সুংসারে তার আপন বুলতি কেউ নেই। এক মুশকিল বাইদেচে তার কিচু গচ্চিত টাকাকড়ি আচে সিডা না পাচ্চে নিজির সাতে নিতি না পাচ্চে কারো কাচে থুতি। যাত্তারা পতে ককন কনে কি ঘটে, পতে ডাকাত পড়তি পারে তাতে যিরাম জমানো টাকাগুলো খ্যায় হওয়ার সুম্ভাবনা রইয়েচে তেমিন কার কাচে থুইয়ে যাবে ফিরে আসার পর দিচ্চি দিবানে কইরে যদি হজমি কইরে দেয় তালি আম ছালা দুডোই গ্যালো।
ম্যালা ভাবনা চিন্তের মদ্দি তার হটাস মনে হলো বটতলার সাধু বাবার কতা। তার কাচে রাইকে গেলিতো কিল্লা ফতে এতে ভাবার কি আচে। সাধুবাবা সুংসার বিবাগী মানুস তার তো আর টাকা কড়ির কোন দরকার নেই। যেই ভাবা সেই কাজ। বটতলায় যাইয়ে সাধু বাবা কইয়ে ডাকতিই চোক মুটামুটা কইরে কচ্চে কিডারে তুই ডাইকে আমার সাধনায় ব্যাঘাত ঘটালি। বুড়ো কাউমাউ করে কচ্চে বাবা অপরাধ নেবেন না, বড্ড বিপদে পইড়ে আপনার চরনে ছুইটে আইছি, আমারে রইক্কে করেন। বুড়ো কতাবাত্তার শুইনে সাধু বাবার মিজাজ আরো খাররা, তোর হ্যাতো বড় পিলে আমার কাচে টাকা থুইয়ে তুই আমারে টাকার লোভ দেকাস, বাইরো হ্যানতে। বুড়ো জুড়া পায় পোনাম দিয়ে কলে বাবা, আপনি এট্টা গতি না কল্লি আমার তীত্থযাত্তারাডাই ভন্ডুল হইয়ে যাবে। আপনি আমারে ফিরোয় দিয়ে হ্যাতো বড় অধম্ম করবেন না। সাধু বাবা ধম্মের দুহাই শুইনে মনডা নরম কইরে কচ্চে তোর টাকা আমি রাকতি পারবো না তেবে এট্টা বুদ্দি দিতি পারি। আমার বসার এই আসন বটতলার সুমকি যে নিমগাছ দেকতি পাচ্চিস তুই ঐ গাচের গুড়ায় গত্ত খুইচে তোর টাকার থইলে রাইকে যা। তীত্থের তে ফিরে আবার ফেরট নিয়ে যাবি। তুই আর আমি ছাড়া এ খবর কেউ জানবে না। বুড়ো এই কতায় রাজি হইয়ে বাবার সুমকি নিমতলায় টাকা গত্তে সাইরে তীত্থে গ্যালো।
মাস খানেক পর ফিরে আইসে বাবারে পোনাম দিয়ে নিমতলার গত্ত খুইচে টাকা বের কত্তি যাইয়ে দ্যাকে কি সব্বোরাশ গত্ত আচে টাকা নেই। বুড়ো ভাইবেচে হয়ত ভুল জাগা খুচিচি টাকা অন্য পাশে আচে মনে কইরে সারা নিমগাচের গুড়া খুইচে সারা কইরে ফেলায়েচে তবু টাকার থইলের কোন চিন্ন নেই। এই কতা সাধুবাবার কাচে আইসে কতি বাবা সেইরাম এক তাড়া মাইরে কচ্চে বদমায়েশ, তুই কতি চাস তোর টাকা আমি চুরি করিচি। বাইরো হ্যানতে নায়তো লোক ডাইকে ঘাড়ঘুল্লি দিবানে কলাম।
আমাগের একন এই বুড়োর মত দশা। যারা আমাগের চোকি পাহারা দিয়ে রাকপে তারায় সব খ্যায় কইরে দেচ্চে। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা