শিরোনাম |
❒ যশোর জেলা ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশন
যশোর জেলা ফুটবল রেফারি সমিতির নির্বাচন চলতি মাসের ২০ তারিখ। এ নির্বাচন ঘিরে সংস্থায় ও ফুটবল অঙ্গনে নানা আলোচনা ও সমালোচনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশন তাদের ধার্যকৃত দিনেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তালিকায় ১৪ জন ভোটারকে গঠনতন্ত্র না মেনেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এ দাবি সমিতির একাধিক সদস্যর। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গঠনতন্ত্র মেনেই তাদের ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত করা হয়েছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন ১৩৪ জনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অসংগতি দেখে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শফিকুল ইসলাম মিঠু নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি দেন। সেই আপত্তি নির্বাচন কমিশন সমাধান করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দারস্থ হতে হয়। এ বিষয়ে গত রোববার একটি বৈঠকও হয়। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, সেই বৈঠকে সংস্থার সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার নির্বাচন কমিশনকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার কথা বলেন।
সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠনতন্ত্র পারমিট না করায় প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা থেকে নির্বাচন কমিশন বাদ দেন ৫৪ জনকে। এই ৫৪ জনের একজন হচ্ছেন রকিব হোসেন। তিনি আবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত হয়েছেন। তার ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর ৮১।
গঠনতন্ত্র পারমিট না করায় যে সকল ভোটার চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। সেই একই ধরণের সমস্যা রয়েছে আরও ১৩ জনের। বর্তমান কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। এই কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় একই বছরের ৭ ডিসেম্বর। এই সভায় ঐ ১৩ জনকে সদস্য করা হলো মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ও কার্যনির্বাহী পরিষদে রেজুলেশন করা হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তের তারিখ থেকে তাদের সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে। গঠনতন্ত্রের ৩৭ এর (জ) ধারায় বলা আছে সদস্য পদ প্রাপ্তির পর তিন বছর পূর্ণ না হলে ভোটার কিংবা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সে অনুযায়ী ঐ ১৩ জনের তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে চলতি বছরের ডিসম্বরের ৬ তারিখ। এখনও তাদের তিন বছর সদস্য পদ পূর্ণ হতে বাকি রয়েছে আট মাসেরও বেশি। তারা কিভাবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত হয়েছেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
গঠনতন্ত্র পারমিট না করা সত্বেও যে ১৩ জন চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত হয়েছেন তাদের ভোটার নম্বর ও তালিকা নি¤œরূপ:
ফরহাদ হোসেন, ক্রমিক নম্বর ৬৮, আসাদুজ্জামান ৬৯, শেখ সাইফুল ইসলাম ৭০, স্বজল মন্ডল ৭১, মনোজিৎ বিশ্বাস ৭২, রাজু আহম্মেদ ৭৩, রফিকুল ইসলাম ৭৪, শান্ত মন্ডল ৭৫, নাহিদ হাসান ৭৬, সবুজ কুমার বিশ্বাস ৭৭, লিটন বিশ্বাস ৭৮, নূরু নবী ৭৯ ও তরিকুল ইসলাম ৮০। এছাড়া যে ৫৪ জন বাদ পড়েছেন তাদেরই একজন রকিব হোসেন। তিনি ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত হয়েছেন। তার ক্রমিক নম্বর ৮১।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম জানান, গঠনতন্ত্র মেনেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তারা অনেকেই সর্বশেষ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ না করায় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সমিতির সাধারণ পরিষদের একটি অংশ।