শিরোনাম |
❒ যশোর জেলা ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক অদক্ষতা
যশোর জেলা ফুটবল রেফারি সমিতির নির্বাচন তফশীল ঘোষণা করা হয় চলতি বছরের ২৪ মার্চ। তফশীলে একাধিক বানান ভুল, নানা বিভ্রান্তি নিয়ে গ্রামের কাগজের অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই সংবাদের সূত্র ধরে নির্বাচন কমিশন নড়ে চড়ে বসে। সংশোধন করা হয় তফশীল। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন তথ্য দেওয়া হয়নি গণমাধ্যমকে। এখন নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে। এ নিয়েই এক একজন নিজেদের মতো করে দিচ্ছেন নানা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। তবে জানা গেছে, অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান ও সাবেক দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণে ভোটার হতে পারছেন না ৫৪ জন। এ সংখ্যা বৃদ্ধি কিংবা কিছুটা কম হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন ও সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্য মতে, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার এর দপ্তরে রোববার নির্বাচন কমিশন, ভোটার তালিকার ওপর অভিযোগকারী, সংস্থার সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বৈঠক হয়। এ বৈঠকে সভাপতি গঠনতন্ত্রের আলোকেই নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনা করার কথা বলেছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বরতদের তত্বাবধানে পলেটেকনিক ইন্সটিটিউটের অডিটরিয়ামে নতুন রেফারি তৈরির জন্য কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে রেফারিদের একটি অংশ নতুন রেফারি তৈরির জন্য একটি কোর্সের আয়োজন করে উপশহর কলেজে। একই সময়ে দু’পক্ষের দু’টি কোর্স করার বিষয়টি নিয়ে বেশ মতানৈক্য তৈরি হয় রেফারিদের মধ্যে। প্রকাশ্যেই বিভাজন দেখা দেয়।
দায়িত্বশীলদের তত্বাবধানে কোর্সে পাশকৃতদের মধ্যে থেকেই ২৪ জনের আবেদন নিয়ে তাদের রেফারি সদস্য করা হয়। কিন্তু সদস্য করা হলেও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এসব সদস্যদের অনুমোদন করা হয়নি। উপশহর কলেজে অনুষ্ঠিত কোর্সের মাধ্যমে পাশকৃত সদস্যদের কোন আবেদনই গ্রহণ করা হয়নি। এ নিয়ে একাধিক সময়ে দেখা দিয়েছে নানা মতানৈক্য ও অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ।
২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সংস্থার সর্বশেষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠিত হয়। গঠিত কমিটি ০৭/১২/২০২১ তারিখে তাদের প্রথম সভায় উভয় গ্রুপের ১৮ জন করে মোট ৩৬ জনকে সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। কিন্তু বিগত কমিটির সময়ে চাঁদা পরিশোধকৃত ২৪ জনকে নির্বাচিত কমিটি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
এসব বিষয় নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দপ্তরে সম্প্রতী জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, বাংলাদেশ ফুটবল রেফারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান ও জেলা ফুটবল রেফারি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ও সাধারণ পরিষদের একাধিক সদস্যর উপস্থিতিতে বিষয়টি সুরাহা করা হয়।
এ বিষয়ে বিগত কমিটির সময়ে চাঁদা পরিশোধকারীরা তাদের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং তারা ভোটার হিসেবে অন্তভুক্ত হবেন। কেন বর্তমান কমিটি তাদের চাঁদা নেওয়া বন্ধ করেছেন তার ব্যাখ্যা তারাই দেবেন।
কিন্তু গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে, কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে লিখিত অনুমোদন প্রয়োজন। বর্তমান কমিটি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় যে সকল সদস্যদের অনুমোদন করেছেন তাদের সদস্য পদ তিন বছর পূর্ণ হয়নি। আর বিগত কমিটির সময়ে সদস্যর চাঁদা পরিশোধকৃত ২৪ জনের অনুমোদন কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন করা হয়নি। অথচ হিসেব অনুযায়ী তাদের মেয়াদ তিন বছর পার হয়েছে। শুধুমাত্র রেষারেষির কারণেই তারা ভোটার তালিকায় কেউ অন্তভুক্ত হতে পারছেন না গঠনতন্ত্রের বিধির কারণেই।
এখন এসব বিষয় নিয়ে কি হবে তা নির্ভর করছে শুধুমাত্র জেলা ফুটবল রেফারি সমিতির সকল সদস্যর ঐক্যের ওপর। তারা কি সব মতভেদ ভুলে দাঁড়াতে পারবেন কি একই প্লাটফরমে সেটিই এখন দেখার বিষয়।