শিরোনাম |
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু লড়াই-সংগ্রাম করা যায়, তার থেকেও বেশি সংগ্রাম আমরা করছি। সুতরাং এখন যেটা প্রয়োজন, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা। বিভিন্ন কৌশলে বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী সরকারের দমন পীড়নের শিকার হয়েছেন। সারা বাংলাদেশে এখন এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যেখানে ভয় আর ত্রাসের রাজত্ব। কখন, কাকে, কীভাবে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেওয়া ঈদ উপহার বিতরণ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে 'আমরা বিএনপির পরিবার'।
মির্জা ফখরুল বলেন, এটা ভয়াবহ, একটা জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ কি? সেই মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু লড়াই সংগ্রাম করা যায়, তার থেকেও বেশি সংগ্রাম আমরা করছি।
তিনি বলেন, জনগণ চায়, এটা কোনো দল-মত-বর্ণ নয়, বাংলাদেশের মানুষের, সেই '৭১ সালের যুদ্ধের সময় যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, '৬৯ এবং '৯০ সালে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, ঠিক একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ এদের থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই পথ, এদেরকে পরাজিত করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এদেরকে পরাজিত করতে না পারলে আমরা তো মুক্তি পাচ্ছি না। এই নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। সুতরাং আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করা। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে গোটা জাতিকে সমন্বিত করা। তারপর বিদ্রোহ, প্রতিরোধ সৃষ্টি করে এদেরকে পরাজিত করা।