gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
যশোরে অস্ত্র-মাদক মামলায় দু’জনের ১০ বছর ও একজনের পাঁচ বছরের কারাদন্ড
প্রকাশ : বুধবার, ২৭ মার্চ , ২০২৪, ০৯:৫৫:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-03-27_660441a158481.jpg

যশোরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় দু’জনের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও মাদক মামলায় আরেক জনের পাঁচ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার অস্ত্র মামলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী ও মাদকের দুই মামলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সুরাইয়া সাহাব ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস পৃথক এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে শহরের আরবপুর এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলিসহ আটক হয় খোলাডাঙ্গা এলাকার সলেমান গাজীর ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মানিক গাজী। এ ঘটনায় মামলার পর তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন খান। বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা দিনে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী।
এছাড়া, ২০২২ সালের ১১ মার্চ রাত আটটার পর চৌগাছা উপজেলার নওদাপুর গ্রাম থেকে ইন্দ্রাপুরের বোরাক বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর বিশ্বাসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৫৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই সাদ্দাম হোসেন মামলা করেন। বুধরার এ মামরার রায়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এদিকে, ২০১৪ সালের ১৬ জুন বিকেলে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশের হাতে আশ্রম রোড থেকে ১শ’পিছ ইয়াবাসহ আটক হয় আশ্রম রোড এলাকার আব্দুল আলীমের ছেলে আকাশ। এ ঘটনায় এসআই জামাল উদ্দীন বাদী হয়ে আকাশসহ শংকরপুর এলাকার আলী আহম্মেদের ছেলে আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় বলা হয় আকাশের সাথে ছিলো রহিম। মামলাটি তদন্ত করে এসআই শেহাবুর রহমান আদালতে দু’জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। বুধবার রায় ঘোষণার দিনে বিচারক সুরাইয়া সাহাব আকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হগাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুর রহিমকে খালাস দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

 

আরও খবর

🔝