gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ধৈর্য্য ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা
প্রকাশ : সোমবার, ২৫ মার্চ , ২০২৪, ০৯:৪৪:০০ পিএম
এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ।:
GK_2024-03-25_66019c1f87f0d.jpg

আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করে তাকে তার ইবাদাত করার আদেশ করেছে। এবং দুনিয়ায় প্রেরণ করে একে অন্যের সাথে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছে। এজন্য মানুষ এই ক্ষনস্থায়ী জীবনে নানাবিধ প্রয়োজনে পড়ে থাকে।

আর আল্লাহর এই প্রিয় বান্দারা তার যাবতীয় প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কীভাবে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাইবে―সে বিষয়ে কুরআন ও হাদীসে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্রসঙ্গ এসেছে নি¤েœাক্ত আয়াতে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। -সূরা বাকারা : ১৫৩।

এখানে মুমিনদেরকে ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বীনী ও দুনিয়াবী এবং ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়―যে কোনো ধরনের, যেকোনো প্রয়োজনে মুমিন ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাইবে। এই ব্যাপকতা আয়াতটির মর্মে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। - তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/২৫১, তাফসীরে মাযহারী ১/১৫১, তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন ১/৩৯৪।

এখানে সাহায্য চাওয়ার মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দুটি বিষয়। সবর ও সালাত।

সবরের শাব্দিক অর্থ, ধৈর্য। দ্বীন ও শরীয়তে সবরের তিনটি ক্ষেত্রকে মৌলিকভাবে উদ্দেশ্য করা হয়ে থাকে।

এক. যাবতীয় গোনাহ ও পাপাচার থেকে ধৈর্যের মাধ্যমে নিজেকে বিরত রাখা।

দুই. আল্লাহ তাআলার ইবাদত ও আনুগত্যের ক্ষেত্রে ধৈর্যের মাধ্যমে নিজেকে অবিচল রাখা।

তিন. বিপদাপদ ও বালা-মসিবতের ক্ষেত্রে সংযম অবলম্বন করা। অর্থাৎ যাবতীয় বিপদ ও মসিবত আল্লাহ তাআলার হুকুমেই এসে থাকে―এই বিশ্বাস জাগ্রত রাখা এবং এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ, ক্ষমা ও প্রতিদান আশা করা। -আররিসালাতুল কুশাইরিয়্যাহ : ১৮৩। তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/২৫১-৫২।

আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাওয়ার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল, সালাত বা নামায। সালাত মুমিনের সর্বপ্রধান ও সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এর মাধ্যমে যেমন ইবাদত আদায় করা হয়, তেমনি তার প্রভাবে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকাও সহজ হয়।

নামাযের মধ্যেও বিভিন্নভাবে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। যেমন সূরা ফাতেহায় তিলাওয়াত করা হয়―

আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার কাছেই সাহায্য চাই।

এখানে ব্যাপকভাবে মানুষের দ্বীন ও দুনিয়ার সকল প্রয়োজন পূরণের প্রার্থনা রয়েছে। এমনিভাবে নামাযের বিভিন্ন দুআ-তাসবীহতেও রয়েছে বান্দার দুনিয়া ও আখেরাতের নানা প্রয়োজন পূরণের প্রার্থনা।

হাদীস শরীফে এসেছে, বান্দা সিজদারত অবস্থায় আল্লাহ তাআলার সবচে বেশি নিকটে থাকে। তাই সেই অবস্থায় বেশি বেশি দুআ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, সে সময়ের দুআ অবশ্যই কবুল হয়। এমনকি এ সময়ে কৃত নবীজীর একটি দুআও বর্ণিত হয়েছে―

হে আল্লাহ! আপনি আমার ছোট-বড়, প্রথম-শেষ, প্রকাশ-অপ্রকাশ্য সকল গোনাহ ক্ষমা করে দিন। -সহীহ মুসলিম : ৪৮২-৪৮৩, সুনানে নাসায়ী : ১১২০।
আল্লাহ তায়ালা ধৈর্য্য ও সালাতের মাধ্যমে তার সাহায্য প্রার্থনা করা তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরও খবর

🔝