gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ অবৈধ্ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক মালিকদের ছাড় নয়: সিভিল সার্জন

দ্বিতীয় দিনে তিন প্রতিষ্ঠানে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা
প্রকাশ : বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৯:৫১:০০ পিএম , আপডেট : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৪:২৬:৪৪ পিএম
আশিকুর রহমান শিমুল:
GK_2024-02-28_65df57259e97f.jpg

যশোরে দ্বিতীয় দিনের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। এ দিনে চার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকার লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল্ট্রাভিশন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও উপশহরের বক্ষব্যাধী অ্যাজমা সেন্টার।
বুধবার দুপুর ১২টায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এর আগে মঙ্গলবার ছয় প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ দু'দিনে ১০ প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে তিন লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় অভিযানিক দল লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল্ট্রাভিশন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন না থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে, বক্ষব্যাধী অ্যাজমা সেন্টারে কোনো ত্রুটি না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এসকল অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা শাখার সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্না তাসনীম, বক্ষব্যধী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার পলাশ কুমার দাশ এবং ক্যাব সদস্য আব্দুর রকিব সরদার।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা শাখার সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্না তাসনীম জানান, জেলার বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের সেবার মান উন্নতকরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ ও তাদের যৌথ অভিযান চলছে। অবৈধ্ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে যাতে রোগীরা প্রতারিত না হয়, তার জন্য এ অভিযান চলমান থাকবে।
১০ শয্যার প্রতিটি হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে রোগী প্রতি ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে নূন্যতম ৮০ বর্গফুট। জরুরি বিভাগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকিমুক্ত অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসার জন্য যন্ত্রপাতি, ওষুধ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থাকতে হবে। শর্তানুযায়ী তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডিপ্লোমাধারী দু'জন সেবিকা, তিনজন সুইপার ও আটশ’ বর্গফুট জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু জেলায় অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানে এসব নিয়মের কোনো বালাই নেই।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, যশোর জেলায় মোট ৩০৯টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে ক্লিনিক ১২০টি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৮৯টি। খাতা কলমের বাইরে জেলায় আরও অর্ধশত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। সেখানে পুরোপুরি অবৈধভাবে কার্যক্রম চলে আসছে।
সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ অভিযান চলছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে ১০ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই ওই নির্দেশনা মানতে হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রোগীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝