gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ ৭টি নামপত্তন জালিয়াতির অভিযোগ

রেলগেটে সেই নালিশি জমিতে শুনানী করলেন এসিল্যান্ড
প্রকাশ : রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ১২:১৪:০০ এএম , আপডেট : শুক্রবার, ২৬ জুলাই , ২০২৪, ০৪:৪৯:৫৪ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি:
GK_2024-02-25_65da328cbcac3.jpg

যশোরের রেলগেট এলাকায় জালিয়াতিপূর্ণ ৭টি নামপত্তনের ঘটনায় আদালতে করা মামলার সরেজমিন তদন্ত করলেন যশোর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বাদী পক্ষ ও আসামি পক্ষকে উপস্থিত রেখে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছেন তিনি। উভয় পক্ষের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রমাণাদি ও কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয় এ সময়।
৭৭ নং চাঁচড়া মৌজার এসএ ৬৬৭ নাম্বার খতিয়ানের বিরোধীয় ওই ১৭ শতক জমি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেলেও যথাযথ তদন্ত হচ্ছে বলে স্থানীয়দের জানিয়েছেন এসিল্যান্ড।
আদালত ও ভূমি অফিস সূত্রে তথ্য মিলেছে, ৭৭ নং চাঁচড়া মোজার এসএ ৬৬৭ নং খতিয়ানের ১৭ শতক জমি ভোগ দখলে আছেন যশোর রেলগেট পশ্চিমপাড়া এলাকার রোজিনা বেগম, গুলশানারা, আনোয়ারা, ইসলাম, লাল বাবু, আব্দুস সালাম ও একই এলাকার মুন্নী বেগম। ওই জমি মনগড়া কাগজপত্রের আলোকে জবরদখল করে রাখা হয়েছে বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ ও মামলা করা হয় আদালতে। অভিযোগ ওঠে, ওই জমি নিয়ে মামলা চলমান অবস্থায় গোপনে ২০১৫ সালে তঞ্চকতাপূর্ণ কাগজপত্র উপস্থাপন করে নামপত্তন করে নেন ৭ ভোগদখলকারী। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওই জালিয়াতিপূর্ণ নামপত্তন ফাঁস হয়ে গেলে তা চ্যালেঞ্জ করে আদালতের আশ্রয় নেন পারভীন সুলতানা রুপার পক্ষে পাওয়ার অব এটর্নি পাওয়া আব্দুর রাজ্জাক। তদন্ত, যাচাই বাছাই ও শুনানী শেষে ওই ৭টি নামপত্তন বাতিল ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব।
এ ঘটনায় ৭টি মামলা করা হয় আদালতে। এরমধ্যে একটি মামলার (সিআর ১১৩৯/২০২৩) ব্যাপারে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্পট তদন্তের জন্য উভয় পক্ষকে ডাকেন এসিল্যান্ড মাহমুদুল হাসান। বাদী ও অভিযুক্ত ৭ জনকে ডেকে শুনানী করেন। অভিযুক্তদের ভোগদখলীয় জমিতেই হয় শুনানী। এখানে অভিযুক্ত পক্ষে নেতৃত্ব দেন আবুল বাশার। ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি স্বাক্ষী আইনজীবী নিয়ে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। এসিল্যান্ড উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখেন এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথাও বলেন। আদালতের নির্দেশনায় বিরোধীয় নালিশি জমিতে তিনি শুনানী করেন।
এ ব্যাপারে বাদী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তিনি উপস্থাপন করেছেন। তবে তার লোকজনকে প্রথমে বিরোধীয় জমিতে তদন্তের সময় ঢুকতে বাধা দেয় ইসলাম-সালাম চক্র। তিনি ন্যায় বিচার ও সঠিক তদন্ত দাবি করেন এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদ দাবি করেছেন।
এদিকে মামলায় অভিযুক্ত গুলশানারা, আনোয়ারা, ইসলাম, লাল বাবু, আব্দুস সালাম ও আরশাদ গাজীর পক্ষে তাদের নিকট আত্মীয় আবুল বাশার জানিয়েছেন, তারাও সব কাগজপত্র দেখিয়েছেন। তাদের পক্ষেই তদন্ত যাবে। নতুন করে নামপত্তন করবেন তারা।
অপরদিকে এসিল্যান্ড মাহমুদুল হাসান বাদী, অভিযুক্ত ও স্থানীয় লোকজনকে আশ্বস্ত করেছেন সঠিক তদন্ত করা হবে। ন্যায় বিচারের স্বার্থেই স্পট ও সরেজমিন তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুতই এ ব্যাপারে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে আদালতে।

 

 

আরও খবর

🔝