gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
কালীগঞ্জে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
প্রকাশ : বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০২:৫৮:০০ পিএম
আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
GK_2024-02-21_65d5adff96ba0.jpg

তিস্তা নদী কৃষকের জন্য কখনো হয় অভিশাপ আবার কখনো হয় আর্শীবাদ। তিস্তার চরাঞ্চলে বর্তমানে যেন আর্শীবাদে পরিণত হয়েছে। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের তিস্তার চরাঞ্চলে সবুজে ছেয়ে গেছে মাঠ। ভুট্টার ফুলে বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। একমাত্র ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনে দিতে হয় সেচ, তবুও রয়েছে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ছারিয়ে যেতে পারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।
ভুট্টা চাষে সেচের পানিসহ খরচ কম লাগে উৎপাদন বেশি হয়। উঁচু-নিচু দোলা জমিতে লাগানো ভুট্টার সবুজ রঙের গাছগুলো দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টার ফলন বেশি হওয়াতে বর্তমানে চর অঞ্চলের প্রধান অর্থকারী ফসল হচ্ছে ভুট্টা। প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না হলে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ৪ হাজার ১১০হেক্টর জমিতে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষে উপজেলার কৃষকরা বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও।
তিস্তার চরের কৃষকগণ বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে ব্যয় হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এতে আমাদের অনেক উন্নত হয়েছে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাইতে পারছি। ভুট্টার আবাদ যখন ছিলনা তখন আমাদের খুব দরিদ্র অবস্থা ছিল।
তুষভাণ্ডার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর ইসলাম আহমেদ বলেন, চরাঞ্চলে যেখানে তাকাবেন শুধু সবুজে ঘেরা দেখতে পাবেন, চরের লোক আজকে আবাদে স্বয়ংসম্পুর্ণ হয়ে যে ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায় হলে এলাকায় কোন অভাব থাকবেনা। উচ্চ ফলনশীল হিসেবে যেভাবে ফলন পাই এটাই আমাদের ভাগ্যও পরিবর্তন করে দিয়েছে।
কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাহির তাহু বলেন, রড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলো যদি এখানে সাইলো স্থাপন করত ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করত তাহলে কৃষরা আরো লাভবান হত।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন জানান, সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষ করে বীজ, সার ও তেলের জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝