gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
gramerkagoj
‘বিদায়টা এমন সুন্দর হবে, কখনো ভাবিনি’
প্রকাশ : সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৮:৫২:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ২৬ জুলাই , ২০২৪, ০৪:৪৯:৫৪ পিএম
খাজুরা (যশোর) অফিস:
GK_2024-02-12_65ca30da2c39e.jpg



বিদায় সব সময় বেদনার হলেও কখনো কখনো তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। এমনই এক বিদায় নিয়েছেন শিক্ষক অজিত কুমার সরকার। টানা ৩০ বছরের কর্মজীবনে ছড়িয়েছেন শিক্ষার আলো। তার ছাত্র-ছাত্রীদের কেউ হয়েছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কেউ জনপ্রতিনিধি, কেউবা স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। তাই প্রিয় শিক্ষকের বিদায়কে স্মরণীয় করতে ভোলেননি তারা। সুসজ্জিত গাড়িতে চড়িয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিদায় দেয়া হয় প্রিয় শিক্ষককে।
এভাবেই রাজকীয় বিদায় জানানো হয় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চন্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকারকে। তিনি বন্দবিলা ইউনিয়নের ধর্মগাতী গ্রামের মৃত কালিপদ সরকারের মেজো ছেলে। কৃতি এই শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
শুরুতেই শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং শুভাকাঙ্খীদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ নানা উপহার দিয়ে প্রিয় শিক্ষককে সম্মাননা জানানো হয়। তারপর স্মৃতিময় বক্তব্যে উঠে আসে বিদায়ী শিক্ষক অজিত সরকারের তারুণ্যমাখা ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও তার অসামান্য অবদানের কথা। সেসব স্মৃতি রোমন্থন করে আবেগাপ্লুত হন তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় অজিত সরকার কান্নায় ভেঙে পড়েন। সৃষ্টি হয় এক হৃদয়গ্রাহী পরিবেশের। তারপর একই মঞ্চে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপরে সুজজ্জিত গাড়িয়ে চড়িয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রিয় শিক্ষককে সপরিবারে বাড়িতে পৌঁছে দেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বিদায়বেলায় স্মারক হিসেবে শিক্ষার্থীদের অনেকেই নিজেদের পোশাকে অটোগ্রাফ নেন শিক্ষকের। কেউ সেলফিতে মেতে উঠেন। কেউবা দলবেধে ফুল ছিটিয়ে বিদায় জানান প্রিয় শিক্ষককে।
বিদায় জানাতে সাতক্ষীরা থেকে আসা প্রাক্তন শিক্ষার্থী তামজীদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি উপজেলায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার পেছনে অজিত স্যারের অবদানও কম নয়। তার কারণেই আমরা অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত। এজন্য তার বিদায় স্মরণীয় করতে জাঁকজমক আয়োজন করেছি আমরা।’
বিদায়ী শিক্ষক অজিত কুমার সরকার বলেন, ‘বিদায়টা এমন সুন্দর হবে, কখনো ভাবিনি। এটা আমার জীবনে অনেক বড় পাওয়া। সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘৩০ বছরের শিক্ষাকতা জীবনে তিনি কখনো এক মিনিটও দেরি করে স্কুলে আসেননি। আদর্শ শিক্ষকের সবগুলো গুণ তার মধ্যে ছিল। আমি তার সাফল্য কামনা করছি।’

আরও খবর

🔝