শিরোনাম |
ভারতে এক মামলায় অর্থপাচারের হোতা গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বিচার চলছে। বিচার শেষ হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার আশা প্রকাশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এসব কথা বলেন।
গত বছরের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম দুই মামলায় পিকে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন। ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি।
রায়ে পিকে হালদার ছাড়া অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন। তারা হলেন- অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
এছাড়া পিকে হালদারসহ অন্য ১০ আসামি পলাতক। পলাতক আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
এ মামলার দুই আসামি আপিল করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এ সময় পিকে হালদারকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দুদকের আইনজীবী বলেন, দুদকের তথ্য সূত্র ধরে পিকে হালদার কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা আশা করছিলাম ছয় মাসের মধ্যে আনা যাবে। কিন্তু সেখানে একটা বিচার শেষ পর্যায়ে। এখন আরেকটা শুরু হয়েছে। বিচার শেষ হতে সময় লাগবে। আমরা আশা করছি বিচার শেষ হলে আনতে পারবো। কারণ তিনি সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। ভারত সরকারও বলেছে বিচার শেষ হলে পাঠিয়ে দেবে।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড, এফএএস ফাইন্যান্স ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর তার নামে রেড এলার্ট জারি করা হয়। তবে তার কয়েক ঘণ্টা আগে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত হয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর ২০২২ সালের ১৪ মে কলকাতায় গ্রেপ্তার হন তিনি। এখন তিনি সেখানেই বন্দি আছেন।