শিরোনাম |
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। জাতির কাছে আমরা যে ওয়াদা করেছিলাম, সেই ওয়াদা আমরা পালন করেছি। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ দিয়েছি। মানুষের সুষম উন্নয়ন চাই। এই উন্নয়নটা সারা বাংলাদেশে হবে।
আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে আয়োজিত বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। মানুষের সমর্থন নিয়েই আমরা টানা ক্ষমতায় আছি। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছি বলেই আজ বাংলাদেশের এই উন্নতি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে ওয়াদা দিয়েছিলাম জাতির কাছে, তা কিন্তু আমরা পালন করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। আমরা মানুষের সুষম উন্নয়ন চাই। উন্নয়নটা সারা বাংলাদেশে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদেরও নজর দিতে হবে। একদিকে, কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্যটা পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। অন্যদিকে, এই অহেতুক চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে। সেটি দেখতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। প্রত্যেকেই যার যার ধর্ম পালন করবে। আমাদের দেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। আর সমাজের অবহেলিত মানুষকে টেনে তুলতে হবে। সবার দিকে নজর দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, নির্বাচন হয়েছে ঠিক, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেখাতে হবে কোথায় অবাধ সুষ্ঠু হয়নি? আমরা তো এতটুকু বলতে পারি, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। সব বাহিনী নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। অনেকে চেয়েছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হোক, তাতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে এবং স্যাংশন দেওয়া যাবে। স্যাংশন নিয়ে আমি বলেছিলাম, আমরাও স্যাংশন দিতে পারি। না জেনে বলি না। আমি স্যাংশনের সব জানি বলেই বলেছি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বারবার চক্রান্ত হয়েছে। সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ২০১৮ সালেও এসে আবার পরাজয় জেনে সরে গেছে। নির্বাচন যেন না হয়, সে অপচেষ্টা করেছে। এবারও বানচাল করার চেষ্টা করেছে। এখনো লম্ফঝম্প করছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এই নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের কাছে প্রশ্ন, কী কী কারণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি সেটা বলতে হবে।’