gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চলে গেলেন কিংবদন্তি ফরাসি পরিচালক জঁ লুক গদার
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ০৬:১৫:০৫ পিএম
বিনোদন ডেস্ক::
1663071324.jpg
ফরাসি নিউ ওয়েভ চলচ্চিত্রের অগ্রদূত ও পরিচালক জঁ লুক গদার মারা গেছেন। ৯১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি।মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ চলচ্চিত্র পরিচালকের ঘনিষ্ঠদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ফরাসি সংবাদপত্র লিবারেশন।দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ‘ব্রেথলেস’ ও ‘কনটেমপটের’ মতো অসাধারণ সব সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তার চলচ্চিত্র টানা কয়েক দশক ধরে নবীন পরিচালকদের উৎসাহ যুগিয়ে আসছে। ১৯৬০ এর দশকের শুরু থেকে রাজনৈতিক চলচ্চিত্রকে নতুন দিশা দিয়েছেন তিনি।ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক টুইট বার্তায় বলেন, আমরা জাতীয় সম্পদ হারিয়েছি, একজন প্রতিভাবান মানুষকে হারিয়েছি। গদার সিনেমার একজন "মাস্টার" ছিলেন। বিখ্যাত সিনেমা 'লাস্ট নাইট ইন সোহো'র পরিচালক এডগার রাইট বলেন, গদার সবচেয়ে প্রভাবশালী, আইকনোক্লাস্টিক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন। ১৯৩০ সালের ৩ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে গদারের জন্ম। ফ্রান্স আর সুইজারল্যান্ডে শৈশব কেটেছিল তার। পড়াশোনা তার যতোটা অবহেলা ছিল, সিনেমা নিয়ে তার আগ্রহ ছিল কয়েকগুণ বেশি। তার প্রথম ফিচার সিনেমা 'ব্রেথলেস'। ১৯৬০ সালে এই সিনেমার মধ্য দিয়ে ফরাসি চলচ্চিত্রকে নতুন এক ভাষা গদার। এরপর ‘ম্যাস্কুলিন ফেমিনিন’, ‘দ্য লিটল সোলজার’, মেড ইন ইউ এস এ’-এর মতো কালজয়ী ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।২০০২ সালে সাইট অ্যান্ড সাউন্ড ম্যাগাজিনের আয়োজিত সমালোচকদের প্রদত্ত ভোটে তিনি সর্বকালের সেরা দশ পরিচালকের তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। বলা হয়ে থাকে, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের যেকোনো চলচ্চিত্র নির্মাতার সমালোচনামূলক বিশ্লেষণের অন্যতম কাজ তার সৃষ্টি। তার কাজ বাণিজ্যিক বর্ণনাধর্মী চলচ্চিত্র শিল্পের রীতি ও চলচ্চিত্র সমালোচনার শব্দভান্ডারকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। ২০১০ সালে গদারকে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়, কিন্তু তিনি এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেননি। গদারের চলচ্চিত্র অনেক বিখ্যাত পরিচালকদের অনুপ্রাণিত করেছে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মার্টিন স্কোরসেজি, কোয়েন্টিন টারান্টিনো, ব্রায়ান ডে পালমা, স্টিভেন সোডারবার্গ, ডি. এ. পেনবেকার, রবার্ট অল্টম্যান, জিম জারমুশ, ওং কার-ওয়াই, ভিম ভেন্ডার্স, বেরনার্দো বেরতোলুচ্চি ও পিয়ের পাওলো পাসোলিনি। 

আরও খবর

🔝