gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
হতাশায় যশোরের মাইক লাইট ব্যবসায়ীরা
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ১২:০৯:০৮ এ এম
স্বপ্না দেবনাথ:
1662401459.jpg
শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র ২৬ দিন। সারাবছর দুর্গোৎসবের মতো বড় উৎসবের দিকে তাকিয়ে থাকেন যারা, যশোরের সেই মাইক লাইট ব্যবসায়ীদের দিন কাটছে হতাশায়। কারণ ব্যবসার ভরা মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত কর্মীদের খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সম্পৃক্তরা। গত দু’ বছর করোনার কারণে দুর্গাপূজার আয়োজন ছিল সীমিত পরিসরে। সকলের প্রার্থনা ছিল,আসছে বছর সব হবে। কিন্তু এবছরও দুর্গোৎসবের কলেবর ছোট করছেন আয়োজকরা। শহরের একাধিক পূজা আয়োজক জানিয়েছেন দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির প্রভাব, ব্যবসায়িক মন্দাসহ বিভিন্ন কারণে এ উদ্যোগ। এ কারণে পূজা কেন্দ্রিক ব্যবসায়ে এবার কিছুটা হলেও ছেদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সব থেকে বেশি শঙ্কায় রয়েছেন মাইক লাইট ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য গত ৭ জুলাই মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশে আলোকসজ্জা না করার জন্য বিধিনিষেধ জারি করে। যার কারণে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকানপাট, অফিস ও বাসা-বাড়িতে প্রায় দু’ মাস আলোকসজ্জা বন্ধ আছে। এতে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পূজার সময় একমাস আগে থেকেই বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডব কর্তৃপক্ষ আলোকসজ্জার জন্য বায়না দিলেও এবার তা হয়নি। আলোকসজ্জা করা যাবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পূজা আয়োজকরা।এ বিষয়ে যশোর মাইক লাইট কল্যাণ সমিতির প্রচার সম্পাদক কাজী আল মামুন জানান, শুধুমাত্র শহরে সমিতির আওতায় ৬৯ টি দোকান রয়েছে। জেলায় রয়েছেন সাড়ে আটশ’র বেশি ব্যবসায়ী। যাদের প্রত্যেকের সর্বনিম্ন দু’ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ জন কর্মচারী রয়েছে। কাজ না থাকায় গত দু’ মাসে এসব দোকান কর্মচারীর কী অবস্থা হতে পারে তা কারো অজানা নয়। ব্যবসার এই মৌসুমে কাজ না হলে কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হবে। যশোর মাইক লাইট কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলক দত্ত জানান, করোনার কারণে এর আগে একবার ব্যবসায়ীরা স্বর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। কোনো রকমে টিকে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন একটু দাঁড়াতে চেষ্টা করছিল তখন এসেছে নতুন নির্দেশনা। যার প্রভাবে জুলাইয়ের শুরু থেকে এই ব্যবসা প্রায় বন্ধ। পূজায় কিছুটা আয়ের মুখ দেখার আশা থাকলেও তা অনিশ্চিত। কারণ পূজার এ উৎসবে যদি আলোকসজ্জার অনুমতি না মেলে তবে মরার উপর খাড়ার ঘা হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আরও অনেক নির্দেশনা রয়েছে; সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, আলোকসজ্জায় খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় না। সাধারণ লাইটের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয় আলোকসজ্জায়। মানবেতর অবস্থা কাটাতে আলোকসজ্জার নির্দেশনায় নমনীয় হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।    এ বিষয়ে যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিপংকর দাস রতন জানান, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যে নির্দেশনা তাতে ধর্মীয় উৎসব শব্দটি নেই। তারপরও দেশের বৃহৎ স্বার্থে পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে সচেতন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সকল জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দের সাথে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে উল্লেখ কওে তিনি আরও বলেন, যশোরের অধিকাংশ পূজা আয়োজকরা বিকল্প উপায়ে আলোকসজ্জাসহ পূজা মন্দিও ও এর আশপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার পক্ষে। কারণ আনন্দ উৎসবের পাশাপাশি  নিরাপত্তার জন্যও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকার দরকার।    

আরও খবর

🔝