gramerkagoj
রবিবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ২৮ আশ্বিন ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি ও দাম কমানো হবে : পলক
প্রকাশ : বুধবার, ৩১ জানুয়ারি , ২০২৪, ০৪:৩৯:০০ পিএম , আপডেট : রবিবার, ১৩ অক্টোবর , ২০২৪, ০২:৩২:৩৮ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-01-31_65ba175c36c97.jpg

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ৫ মাসের মধ্যে প্রত্যেকটি জায়গায় ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো ও দাম কমানোর জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি ফোর-জি প্রতিশ্রুত স্পিড যাতে প্রত্যেকটি মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি নিশ্চিত করে এবং দেশজুড়ে বাড়িতে বাড়িতে সুলভ মূল্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া জন্য আমরা কাজ করছি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ফেনী পিটিআই স্কুল মাঠে হার পাওয়ার প্রকল্পের (Her Power Project) আওতায় তিন জেলার নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ। এর মধ্যে প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব না। সবাই বিদেশও যেতে পারবে না। এজন্য আমাদের এমন কিছু ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে ঘরে বসে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা যায়।
নারী ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দরকার নারীর অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। উপার্জন করে ঘরে ফিরলে মর্যাদা অনেক বেড়ে যায়। এক সময় যৌতুক প্রথা একটি ব্যাধি হিসেবে তৈরি হয়েছিল। সেটির সমাধান কেউ দিতে পারেনি। পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই নারী শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়নে গুরুত্ব দিয়েছেন। এখন প্রাইমারিতে ৬০ শতাংশ নারী শিক্ষক। ১৯৯৬ সালে এ যুগান্তরকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে অভিভাবকরা সন্তানদের পড়ালেখা করানোর উৎসাহ পেয়েছেন। পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে একজন প্রাইমারি শিক্ষককে ঘরের বউ হিসেবে পাওয়ায় যৌতুক নেওয়ার প্রথাটা দূর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বহু সিদ্ধান্ত নারী ক্ষমতায়ন ও নারীদের মর্যাদা দিতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেটে যুক্ত। যা ১৫ বছর আগে ছিল ৫৬ লাখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্ব এ সংখ্যা বৈপ্লবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে দেশে আইটি নির্ভর কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল না। এখন আইটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ২০ লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে।
ফেনীতে আইটি নির্ভর যুব শক্তি তৈরিতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা মেয়েদের, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছেলেদের ফিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জেলায় ১১৪টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হয়েছে। এখানে আরও ১০০টি ল্যাব স্থাপন করা হবে।
বক্তব্যের শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হার পাওয়ার প্রজেক্টের আওতায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের ৭৪৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ তুলে দেন অতিথিরা।
ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় প্রধান (প্রকল্প ও যোগাযোগ) প্রকৌশলী কাজী তারানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মোস্তফা কামাল। এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝